ঢাকা: বংশপরম্পরায় ঢাক বাজান গঙ্গাপদ। ছোট বাড়ি তাঁর। সেখানেই একমাত্র মেয়ে আর স্ত্রীকে নিয়ে অভাবের সংসার। শুধু মাথা গোঁজার ছাদটুকু আছে। সঙ্গে আছে বিপুল ঋণ। এর মধ্যেই ধরা পড়ে কঠিন অসুখ। চিকিৎসকের কড়া নিষেধ, কিছুতেই আর ঢাক বাজানো যাবে না। তাহলে সংসার চলবে কীভাবে?
পরিবার বাঁচাতে ঢাক বাজানোর জেদে গঙ্গাপদ মেয়েকে নিয়ে চলে আসেন কলকাতায়। সেখানেই রায়বাড়িতে ঢাক বাজানোর চাকরি নেন। কিন্তু পূজার দিন ঢাক বাজাতে গিয়ে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন গঙ্গাপদ। বাবার মান বাঁচাতে, সংসারের হাল ধরতে তখনই প্রথম কাঁধে ঢাক তুলে নেয় যমুনা। তারপর থেকে সে হয়ে ওঠে যমুনা ঢাকি।
জি বাংলার সিরিয়াল ‘যমুনা ঢাকি’র গল্প শুরু হয় এভাবে। সাধারণত ঢাকি হিসেবে সব সময় পুরুষদেরই দেখা যায়। তাই যমুনাকে ঢাকি হিসেবে মেনে নিতে প্রবল আপত্তি ছিল রায় পরিবারের। কিন্তু ধীরে ধীরে মেয়েটি স্বীকৃতি পায়। সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয় নতুন ধারণা। গত বছরের ২৩ জুলাই থেকে শুরু হয়েছিল সিরিয়ালটি। সেই থেকে টিআরপি তালিকায় গুরুত্ব পাচ্ছে ‘যমুনা ঢাকি’।
এরই মধ্যে তিন শ পর্ব পেরিয়েছে ‘যমুনা ঢাকি’। সিরিয়ালে শ্বেতার নায়ক সংগীত চরিত্রে আছেন রুবেল দাস। আরও আছেন দেবযানী চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক বন্দোপাধ্যায় ও কাঞ্চনা মৈত্র। জি বাংলায় বাংলাদেশ সময় প্রতিদিন রাত ৮টায় প্রচার হয় ধারাবাহিকটি।