টরন্টো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৫০তম আসরে সেরার পুরস্কার পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ড জিতে নিল ক্লোয়ে ঝাও পরিচালিত ‘হ্যামনেট’। ২০২০ সালে এ নির্মাতার আরেকটি সিনেমা ‘নোম্যাডল্যান্ড’ সেরা হয়েছিল এ উৎসবে। সে হিসেবে ক্লোয়ে ঝাও প্রথম নির্মাতা, যিনি টরন্টো উৎসবে দুইবার এ পুরস্কার জিতলেন।
টরন্টোতে পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ড জেতার পর হ্যামনেট সিনেমা অস্কারের সম্ভাব্য তালিকায় অনেকটাই এগিয়ে গেল। কয়েক বছর ধরে টরন্টো উৎসব হয়ে উঠেছে অস্কারের অন্যতম ব্যারোমিটার। কারণ, এ উৎসবে জেতা সিনেমাগুলোই অস্কার প্রতিযোগিতায় অনেকটা এগিয়ে থাকে। ১৯৭৮ সালে পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ড চালু হওয়ার পর থেকে এ পুরস্কার জেতা ৭টি সিনেমা অস্কারেও সেরা হয়েছে। যার মধ্যে পাঁচটিই এসেছে গত দুই দশকে।
হ্যামনেট সিনেমাটি তৈরি হয়েছে ম্যাগি ও’ফ্যারোলের উপন্যাস অবলম্বনে। উইলিয়াম শেক্সপিয়ার ও তাঁর স্ত্রী অ্যাগনেসের প্রেম ও দাম্পত্য নিয়ে গল্প। এতে গুরুত্ব পেয়েছে তাঁদের ছেলে হ্যামনেট, যে মাত্র ১১ বছর বয়সে মারা যায়। সন্তানকে হারিয়ে মা-বাবার যে শোক, সেটিই সিনেমার মূল গল্প। এতে শেক্সপিয়ারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন পল মেসকাল এবং অ্যাগনেসের চরিত্রে জেসি বাকলি।
টরন্টো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৫০তম আসরটি শুরু হয় ৪ সেপ্টেম্বর। ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে সমাপনী উৎসবে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। এ উৎসবের ইন্টারন্যাশনাল পিপলস চয়েস বিভাগে চমক দেখিয়েছে ভারতীয় নির্মাতা নীরাজ ঘায়ওয়ানের ‘হোমবাউন্ড’। সেকেন্ড রানার-আপ হয়েছে ঈশান খাট্টার ও জাহ্নবী কাপুর অভিনীত সিনেমাটি। এ বিভাগে সেরা হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ান সিনেমা ‘নো আদার চয়েস’।
পুরস্কার জিতল যে সব সিনেমা
পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ড
সেরা সিনেমা: হ্যামনেট
ফার্স্ট রানার-আপ: ফ্রাঙ্কেনস্টাইন
সেকেন্ড রানার-আপ: ওয়েক আপ ডেড ম্যান: আ নাইভস আউট মিস্ট্রি
ইন্টারন্যাশনাল পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ড
সেরা সিনেমা: নো আদার চয়েস
ফার্স্ট রানার-আপ: সেন্টিমেন্টাল ভ্যালু
সেকেন্ড রানার-আপ: হোমবাউন্ড
পিপলস চয়েস ডকুমেন্টারি অ্যাওয়ার্ড
দ্য রোড বিটুইন আস: দ্য আলটিমেট রেসকিউ
পিপলস চয়েস মিডনাইট ম্যাডনেস অ্যাওয়ার্ড
নির্ভানা দ্য ব্যান্ড দ্য শো দ্য মুভি