ঢাকা: বাংলা চলচ্চিত্রের আরেকটি যুগের অবসান হলো। কিংবদন্তি অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী শায়িত হলেন চিরনিদ্রায়। ১৭ এপ্রিল বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে তাই কালোদিন হয়ে থাকলো। দীর্ঘ পাঁচ দশকের বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে দাড়ি চিহ্ন বসিয়ে কবরী চলে গেলেন এদিন।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। সেখানেই হয় কবরীর জানাযা। এর আগে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কবরীকে দেয়া হয় রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার।
কবরীর গার্ড অব অনারের ভিডিও:
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ঢাকাই সিনেমার ‘মিষ্টি মেয়ে’। শুক্রবার দিবাগত রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। দেশিয় চলচ্চিত্র, সংগীত ও নাটকের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা কবরীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন অনলাইন-অফলাইনে। সামাজিক মাধ্যমগুলো ছেয়ে গেছে কবরীর স্মৃতিচারণায়।
গত শতকের ষাটের দশকে সেলুলয়েডের পর্দায় আবির্ভূত হয়ে কবরী পরের অর্ধশতকে দুই শতাধিক সিনেমায় আলো ছড়িয়েছেন। তাঁর সঙ্গে জুটি হয়ে অভিষেক ঘটেছে শীর্ষ পাঁচ ঢাকাই নায়কের।
কবরী অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘নীল আকাশের নিচে’, ‘ময়নামতি’, ‘ঢেউয়ের পর ঢেউ’, ‘পরিচয়’, ‘অধিকার’, ‘বেঈমান’, ‘অবাক পৃথিবী’, ‘সোনালী আকাশ’, ‘অনির্বাণ’, ‘দীপ নেভে নাই’ ইত্যাদি।
কিংবদন্তি নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ এ অভিনয় করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন কবরী।