হোম > শিক্ষা > ক্যাম্পাস

ক্যাম্পাস ঘিরে জীবন যাঁদের

রায়হান আবিদ

প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়তে আসেন হাজারো শিক্ষার্থী। আবার প্রতিবছর হাজারো শিক্ষার্থী লেখাপড়া শেষে চলে যান ক্যাম্পাস ছেড়ে। তবে ক্যাম্পাসের সড়কে, চায়ের দোকানে, হলে কিংবা অনুষদের ভবনে রেখে যান কয়েক বছরের স্মৃতি। সেই সঙ্গে রেখে যান কিছু পরিচিত মুখ—তাঁদের জীবনযাপন ও জীবিকা। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের তেমনি কিছু পরিচিত মুখের কথা লিখেছেন রায়হান আবিদ

ব্রহ্মপুত্রে নৌকা চালান পঁচিশ বছর
রতন মিয়া। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে প্রবহমান ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকা চালান ২৫ বছর ধরে। এই নদের পাড়ে দাঁড়ালে মনের ক্লান্তি বিলীন হয়ে যায় তাঁর। রতন মিয়া বলেন, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে নৌকা চালাই পচ্চিশ বছর। শিক্ষার্থীরা সময় কাটাইতে নদের ওপারে গিয়ে আড্ডা জমায়। অনেকে আবার জন্মদিন উদ্‌যাপন করতে যায়। এত বছর অনেক ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে পরিচিত হয়েছি। অনেক বছর পর তারা ঘুরতে আইলে স্মরণ করে, আমার নৌকায় আগে তারা কত ঘোরাঘুরি করছিল।’ 

মিলন ভাইয়ের খাবার হোটেল
১৯৮২ সাল। সে সময় ক্যাম্পাসের মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগের সামনে গড়ে উঠেছিল একটি রেস্তোরাঁ। তার মালিক ছিলেন মিলনের বাবা। তবে ছোট থেকে রেস্তোরাঁর সঙ্গে যুক্ত থাকায় সবার কাছে মিলন ‘ভাই’ হিসেবে পরিচিত। পরবর্তী সময়ে রেস্তোরাঁটির জায়গা বদল হয়। চলে যায় আবদুল জব্বার মোড়ে। প্রায় ৩০ বছর ধরে সেখানে রেস্তোরাঁ চালাচ্ছেন মিলন। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী—সবাই ভাই বলেই ডাকে আমাকে। অনেক সাবেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে এলে দেখা করতে আসেন। স্মরণ করিয়ে দেন কত স্মৃতি রেখে গেছেন আমার দোকানে। তাঁদের সঙ্গে কিছু স্মৃতি নিজেই ভুলে গিয়েছি। অনেক বছরের পুরোনো কথাটাও মনে হয় যেন গতকাল কেউ বলেছে।’  

সুব্রত দাদার ফটোকপির দোকান
২০০৮ সাল থেকে ক্যাম্পাসের কে আর মার্কেটে ক্লাসের লেকচার শিট ফটোকপির ব্যবসা শুরু করেন সুব্রত। ক্যাম্পাসের বর্তমান ও সাবেক অনেকের কাছেই তিনি পরিচিত মুখ। প্রায় ১৫ বছরে সুব্রত সবার কাছে দাদা হিসেবে পরিচিত হয়ে গেছেন। তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালে কে আর মার্কেটে ফটোকপির দোকান দিলাম। পাস করে চাকরি নিয়ে চলে গিয়েছে বহু আগে, তাঁরা মাঝেমধ্যেই ক্যাম্পাসে এলে ফোন দেন। ক্যাম্পাস ঘুরে আমার দোকানে আসেন, আড্ডা দেন, খোঁজখবর নেন, অনেক কথাবার্তা বলেন।’ 

সোহরাওয়ার্দী হলের জীবন দাদা
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের অফিস পরিচারক পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন জীবন। ১৯৯৬ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করতে করতে তিনি এখন সবার দাদা। সাবেক ছাত্রদের কথা স্মরণে তিনি বলেন, ‘আমাগো হলের অনেক ছাত্র প্রশাসনের বড় বড় জায়গায় আছে। এসপি, ডিসি, ডিআইজি, সচিব, ব্যাংকার, কৃষি কর্মকর্তা, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, বড় অফিসারও আছে। মাঝেমধ্যে হলে এলে আমারে খুঁজে, ফুন দিয়া অনেকেই খোঁজখবর নেয়। মাঝখানে অসুস্থ ছিলাম বেশ কিছুদিন। তখন হলের অনেক ছোট ভাই যোগাযোগ করছে। আমার শরীর-স্বাস্থ্যের, ভালো-মন্দের খোঁজ নিছে।’

উচ্চশিক্ষা কোনো বিশেষ শ্রেণির জন্য নয়, এটি সবার অধিকার

পাঠকবন্ধুর মহান বিজয় দিবস উদ্‌যাপন

উত্তরার গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল: স্বর্ণ রৌপ্য ব্রোঞ্জসহ ৭ অ্যাওয়ার্ড জয়

যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা: চিকিৎসা নৃবিজ্ঞানে বাংলাদেশি মিথিলার পথচলা

কৃষক বাবার স্বপ্নপূরণে মেডিকেলে পড়ছেন উর্মি

জকসু নির্বাচন: তিন দিনেও প্রকাশ করা হয়নি ব্যালট নম্বর, প্রচারে নেমে বিপাকে প্রার্থীরা

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪-এর আকাঙ্ক্ষা ধারণ করেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: জবি উপাচার্য

এআইইউবির ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

শিক্ষার্থীদের বিজয় দিবসের ভাবনা

দিনে রাজমিস্ত্রির কাজ রাতে পড়াশোনা