জলবায়ু পরিবর্তন, কৃষির আধুনিকায়ন এবং দক্ষ জনবল তৈরির ক্ষেত্রে স্মার্ট কৃষি এখন সময়ের দাবি। প্রযুক্তিনির্ভর এই কৃষি পদ্ধতিতে ব্যবহৃত হচ্ছে ইন্টারনেট অব থিংস, সেন্সর, লোকেশন সিস্টেম, অটোমেশন, রোবোটিকস ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা—যা কৃষিকে করছে আরও টেকসই ও উৎপাদনমুখী।
সাম্প্রতিক এক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে বিষয়টি উঠে আসে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি)। ‘স্মার্ট কৃষি অনুশীলনের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন’ প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত হয় ইয়াস এশিয়া প্যাসিফিক সায়েন্টিফিক ইভেন্ট ২০২৫। আয়োজনে ছিল ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব স্টুডেন্টস ইন অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড রিলেটেড সায়েন্সেস (ইয়াস), বাংলাদেশ শাখা।
দিনব্যাপী আয়োজনে দেশি-বিদেশি অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থাপন করেন ১৯টি বৈজ্ঞানিক পোস্টার। স্মার্ট কৃষির ভূমিকা নিয়ে তাৎক্ষণিক পোস্টার তৈরি এবং উপস্থাপনও করেন তাঁরা।
সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. এম জুলফিকার রহমান।
মৎস্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. হারুনুর রশিদ বলেন, সমুদ্র পৃথিবী থেকে নির্গত প্রায় ৩০ শতাংশ গ্রিনহাউস গ্যাস শোষণ করে। শিল্প ও জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে আসে ৬৫ শতাংশ কার্বন ডাই-অক্সাইড। এ ছাড়া কৃষি খাত থেকেও আসে প্রায় ২০ শতাংশ।
অ্যাগ্রোফরেস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী কামরুল ইসলাম বলেন, অ্যাগ্রোফরেস্ট্রি কৃষি উৎপাদনের পাশাপাশি গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমায়। একটি গাছ দৈনিক গড়ে ৪৫ পাউন্ড কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করতে পারে।
এই সম্মেলনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্মার্ট কৃষি ও জলবায়ু সচেতনতা বাড়ানোর একটি কার্যকর উদ্যোগ হিসেবে কাজ করেছে বলে মত দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।