চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সেকশন অফিসার পদে পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগের জন্য গঠিত নির্বাচনী বোর্ডে প্রক্রিয়াগত ত্রুটির অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগে বোর্ড থেকে পদত্যাগ করেছেন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর এস. এম. সালামত উল্যা ভূঁইয়া।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে ঊর্ধ্বতন সহকারী বা সমমানের পদ থেকে সেকশন অফিসার বা সমমানের আপগ্রেডেশনের মাধ্যমে নিয়োগের জন্য গঠিত নির্বাচনী বোর্ড বসে। এর আগে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কাছে পাঠানো এক চিঠিতে পদত্যাগ করেন অধ্যাপক সালামত উল্যা।
পদত্যাগ পত্রে নিয়োগ সংক্রান্ত প্রক্রিয়াগত কিছু ত্রুটির কারণে আইনি জটিলতা ও সামাজিক ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
এ দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সেকশন অফিসারের পদোন্নতির এই বোর্ডে সিন্ডিকেট মনোনীত সদস্যের বাইরে প্রশাসন বিশেষজ্ঞ হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়াকে। বিষয়টিকে নিয়ম বহির্ভূত বলছেন জ্যেষ্ঠ শিক্ষকেরা। এ ছাড়া আজ অনুষ্ঠিত বোর্ডে প্রায় ১০০ জনের পদোন্নতি পদপ্রার্থী থাকলেও সিলেকশন বোর্ডের সদস্যদের ৫৮ জনের ডকুমেন্ট দিয়েছে প্রশাসন। বাকি ৪২ জন পদপ্রার্থীর কোনো ডকুমেন্ট পাননি সিলেকশন বোর্ডের সদস্যরা।
বিষয়টিকে নিয়মবহির্ভূত দাবি করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জ্যেষ্ঠ শিক্ষক বলেন, যতজনের পদোন্নতি হবে ততজনের সব ধরনের ডকুমেন্ট সিলেকশন বোর্ডের সদস্যদের দিতে হয়। যাতে সদস্যরা পদোন্নতি প্রত্যাশী প্রার্থীদের সব ধরনের পদোন্নতির শর্ত পূরণ হয়েছে কি না, তা জানতে পারেন। এটাই বিধিবদ্ধ নিয়ম। কিন্তু প্রশাসন ৫৮ জনের তথ্য সিলেকশন বোর্ডের সদস্যদের দিলেও বাকি অনেকেরই তথ্য দেননি। যা নিয়োগ সংক্রান্ত প্রক্রিয়াগত ত্রুটির কারণে আইনি জটিলতা থেকে যাচ্ছে।
পদত্যাগ পত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ওনার (সালামত উল্যা) পদত্যাগ পত্র পেয়েছি। তিনি যেটা মনে করছেন, আসলে সেটা না।’
বোর্ডে প্রক্টরকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ম আছে। এর আগেও প্রক্টরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’