হোম > শিক্ষা

জাহাঙ্গীরনগরে একুশের চেতনায় নান্দনিক স্থাপত্যকর্ম

বেলাল হোসেন, জাবি

একুশ, বাঙালির দৃঢ় চেতনার ইঙ্গিত বহন করে। একুশে ফেব্রুয়ারি দেশের মানুষকে শিখিয়েছে আত্মত্যাগের মন্ত্র, যা যুগে যুগে জাতির প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। ভাষা আন্দোলনে অনুপ্রাণিত হয়ে এসেছে এদেশের স্বাধীনতা। শুধু বাঙালি নয়, বিশ্বের প্রতিটি জাতির মাতৃভাষার প্রতি মর্যাদা, স্বাধিকার, স্বাধীনতার সংগ্রামে দুর্জয় অনুপ্রেরণা সৃষ্টির দীপ্তিতে দিগন্ত উদ্ভাসিত করেছে একুশে ফেব্রুয়ারি। মহান এ চেতনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে উঠেছে দেশবিখ্যাত দুটি ভাস্কর্য। একটি শহীদ মিনার, অন্যটি অমর একুশে ভাস্কর্য। 

তিন স্তম্ভে শহীদ মিনার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাকালে এটির নাম ছিল জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। প্রথম উপাচার্য অধ্যাপক মফিজউদ্দিন আহমদ আলবেরুনী হলের সামনে একটি ছোট্ট শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন। পরে ১৯৮৫ সালে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক আ ফ ম কামালউদ্দিন শহীদ মিনারটি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে স্থানান্তর করেন। স্থানান্তরিত তিন ফুট উঁচু স্তম্ভবিশিষ্ট ত্রিকোণ আকৃতির মিনারটি ছিল আকারে ছোট। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০০৪ সালে উপাচার্য অধ্যাপক খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান দাবি বাস্তবায়নে তৎপর হন। ২০০৬ সালে আগের স্থানে দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০০৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি দেশের সবচেয়ে উঁচু শহীদ মিনারের উদ্বোধন করেন উপাচার্য মুস্তাহিদ। 

১৯৫২ সালকে সব জাতীয় অর্জনের ভিত্তি বিবেচনা করে এর ভিত্তি মঞ্চের ব্যাস রাখা হয়েছে ৫২ ফুট। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি সম্মান জানিয়ে উন্মুক্ত আকাশগামী স্তম্ভ তিনটির উচ্চতা রাখা হয়েছে ৭১ ফুট। দেশ বিভাগের পর আমাদের জাতীয় জীবনের স্বাধীনতা অভিমুখী নানা আন্দোলনে তাৎপর্যমণ্ডিত ৮টি বছর ১৯৪৭, ১৯৫২, ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৬৬, ১৯৬৯, ১৯৭০ ও ১৯৭১ সালকে ভিত্তি হিসেবে নিয়ে মঞ্চে ব্যবহার করা হয়েছে ৮টি সিঁড়ি, যা ধারাবাহিক মুক্তিসংগ্রামের প্রতীক। 

স্তম্ভ তিনটি তাৎপর্যমণ্ডিত তিনটি বিষয়কে নির্দেশ করে। প্রথমটি বাংলা ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি, দ্বিতীয়টি মাটি-মানুষ, প্রতিবাদ-প্রতিরোধ আন্দোলন সংগ্রাম। এবং তৃতীয়টি স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, অর্থনৈতিক মুক্তি গণতান্ত্রিক চেতনার প্রতীক। এ অপূর্ব দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যকর্মের নকশা করেছেন স্থপতি রবিউল হুসাইন। 

অমর একুশ: মায়ের হাতে সন্তানের লাশ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চেতনা উদ্দীপ্তকারী স্থাপনা ‘অমর একুশে’। এটি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার অন্যতম একটি প্রতীক। মায়ের কোলে সন্তানের লাশ, পাশে স্লোগানরত যুবক। মায়ের ঊর্ধ্বমুখী দৃষ্টি আর যুবকের মুষ্টিবদ্ধ হাত আমাদের মনে করিয়ে দেয় পরাধীনতার শিকল ভাঙার গল্প। ১৯৯১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে উপাচার্য অধ্যাপক কাজী সালেহ আহমেদ ভাষা আন্দোলনের এই স্মারক ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করেন। 

ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে কংক্রিটে সংগ্রামী রূপ দিয়েছেন শিল্পী জাহানারা পারভিন। ৬ দফাসহ মুক্তি আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ের স্তরকে নির্দেশ করে ৬টি সিঁড়ি। ভাস্কর্যটির পাদদেশে পলাশ ফুলের গাছ স্বাধীনতার আগমনকে জানান দেয়। 

দীর্ঘ ২৭ বছর পর, ২০১৮ সালে ভাষাশহীদদের স্মরণে নির্মিত ‘অমর একুশে’ ভাস্কর্য সংস্কার করে নতুন রূপ দেওয়া হয়। সঙ্গে ভাস্কর্যটির নাম ‘অমর একুশে’ থেকে ‘অমর একুশ’ করা হয়। 

জাহাঙ্গীরনগরের সবুজে ঢাকা রাস্তার পাশ দিয়েই বয়ে চলেছে নির্মল প্রাকৃতিক জলাশয়। জলাশয়গুলোর লাল শাপলাশোভিত পানিতে অতিথি পাখির কিচিরমিচির কলতান মুগ্ধ করে প্রকৃতিপ্রেমীদের। কিন্তু ইতিহাস সচেতন নাগরিকের কাছে এই সৌন্দর্য অনেকাংশেই তুলে ধরে ‘শহীদ মিনার’ ও ‘অমর একুশ’।

জকসু নির্বাচনে ব্যতিক্রমী প্রচারণায় প্রার্থীরা

‎জবির ‘এ’ ও ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর

এআইইউবিতে সাইবার গেমিং ফেস্ট ২০২৫ অনুষ্ঠিত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. রইছ ও সম্পাদক ড. ইমরানুল

চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ অর্থায়িত সিএসসি বৃত্তি

জকসু নির্বাচন: ইশতেহারে অগ্রাধিকার দ্বিতীয় ক্যাম্পাস

প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত করে প্রজ্ঞাপন

অবসর ভাতায় অনিয়ম, ক্ষতি ১২৫০ কোটি

নির্বাচনের পর রমজান, আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষা কবে?

শহীদ শরিফ ওসমান হাদির হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন