ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে রিটেইল ব্যবসায় প্রবেশ করেছে বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই)। সোমবার (১ ডিসেম্বর) স্বাক্ষরিত এই চুক্তির মাধ্যমে এমজিআই জানুয়ারি ২০২৬ থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর এমআরটি লাইন-৬-এর আটটি স্টেশনে ‘ফ্রেশ সুপার মার্ট’ নামে মোট নয়টি সুপারস্টোর পরিচালনা করবে।
বাংলাদেশের কোনো মেট্রো রেলস্টেশনের ভেতরে এই সুপারস্টোরগুলোই হতে যাচ্ছে প্রথম বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান।
এমজিআই ডিরেক্টর তানভীর মোস্তফা এবং ডিএমটিসিএল কোম্পানি সচিব খোন্দকার এহতেশামুল কবীর নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এমজিআই এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (এডমিন) সৈয়দ তৌফিক উদ্দিন আহমেদ, চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার (সিএইচআরও) আতিক উজ জামান খান, হেড অব সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট রাশেদুল হক, জিএম (অডিট) সাজ্জাদ হোসেন, সিনিয়র এজিএম (প্রজেক্ট) মো. শাহেদ ইকবাল ভূঁইয়া, সিনিয়র এজিএম (অ্যাকাউন্টস) সৈয়দ মনিরুজ্জামান, এজিএম (ফ্রেশ সুপার মার্ট) মীর আবদুল হাফিজ উপস্থিত ছিলেন।
ডিএমটিসিএলের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ম্যানেজিং ডিরেক্টর ফারুক আহমেদ, প্রজেক্ট ডিরেক্টর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আব্দুল ওহাব, ডিরেক্টর (এডমিনিস্ট্রেশন) এ কে এম খায়রুল আলম। এ ছাড়া এমজিআই এবং ডিএমটিসিএলের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ফ্রেশ সুপার মার্ট সুপারস্টোরগুলো উত্তরা উত্তর (উত্তর ও দক্ষিণ পাশে দুটি পৃথক আউটলেট), উত্তরা সেন্টার, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সচিবালয় এবং মতিঝিল মেট্রো রেলস্টেশনের অভ্যন্তরে থাকবে।
এর মধ্যে ফ্ল্যাগশিপ হিসেবে মিরপুর-১০-এর আউটলেটটির আয়তন হবে ২ হাজার ১০৫ বর্গফুট। প্রতিটি আউটলেটই মেট্রোস্টেশনের কনকোর্স এলাকায় হবে এবং সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রতিটি আউটলেটে নির্দিষ্ট ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভোগ্যপণ্য, ফুড স্টেশন এবং কফি ও জুস কর্নার থাকবে। জানুয়ারি ২০২৬ থেকে ফ্রেশ সুপার মার্ট আউটলেটগুলো বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করবে।