‘ভ্যাট ফাঁকিতে আইপিডিসি ফাইন্যান্স’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, প্রকাশিত সংবাদটি ভিত্তিহীন, তথ্যগত ভুল রয়েছে। এনবিআরের নিয়মিত নিরীক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ভ্যাট নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর ২০১৮-২০২২ করবর্ষের জন্য আইপিডিসির ভ্যাট কর্তন ও পরিশোধের নিরীক্ষা-অডিট সম্পন্ন করে। নিরীক্ষা পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর মোট ২৯ লাখ ২৪ হাজার ৮০১ টাকা দাবি করা হয়।
নিরীক্ষা দাবিটি কিছু ফি আয়, খরচের ওপর ভ্যাটের ভুল হিসাব এবং কিছু খরচকে অব্যাহতি হিসেবে বিবেচনায় উত্থাপিত হয়েছে, কিন্তু নিরীক্ষা দল তা অগ্রাহ্য করেছে। যেহেতু ভুল হিসাব এবং অব্যাহতিপ্রাপ্ত খাত বিবেচনায় অমিলের কারণে পরিমাণটি কম পরিশোধিত হয়েছিল, তাই আইপিডিসি কোনো শুনানিতে উপস্থিত না হয়ে, ২০২৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারিতে এ চালানে ভ্যাট পরিশোধ করেছে, যা গত ১৪ মার্চ গ্রহণ করেছে বলে স্বীকার করেছে।
প্রতিবেদকের বক্তব্য: প্রতিবেদনে প্রতিবেদকের নিজস্ব কোনো বক্তব্য নেই। নিরীক্ষা প্রতিবেদনের ১৮ পৃষ্ঠায় সুদসহ আইপিডিসির ফাঁকি প্রদত্ত মূল্য সংযোজন কর ২৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৭ টাকা বলা হয়। এরপর আইপিডিসিকে শুনানির জন্য নোটিশ দেওয়া হয়, ৯ নভেম্বর শুনানিতে প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মফিজুল ইসলাম এবং অরূপ রতন সাহা উপস্থিত হয়ে লিখিত বক্তব্য দেন। আইপিডিসি এই অর্থ পরিশোধ করেছে, প্রতিবেদনেও এই তথ্য রয়েছে।