রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রামচন্দ্রপুর খালে দুই দিনের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। গত ২০ ও ২১ জুন তারিখে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি), ফুটস্টেপস বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে এই কার্যক্রমে অংশ নেয় আইডিএলসি ফাইন্যান্স।
আইডিএলসি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, অতীতে নিকটবর্তী অঞ্চলের যথাযথ পানি নিষ্কাশন ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও দীর্ঘদিনের আবর্জনা জমে রামচন্দ্রপুর খালে প্রায় পাঁচ ফুট পুরু একটি স্তর তৈরি হয়। এই ময়লা-আবর্জনার স্তূপ আশপাশের এলাকায় এটি পরিবেশগত ঝুঁকি তৈরি করে, বিশেষত পার্শ্ববর্তী আদাবর ১০ নম্বর রোডের স্কুলগামী শিশুদের স্বাস্থ্যের ওপর এটি বিরূপ প্রভাব ফেলে।
প্রতিষ্ঠানের করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গৃহীত এই উদ্যোগের আওতায় অতিরিক্ত ময়লা জমার ফলে খালের স্বাভাবিক পানি প্রবাহ প্রায় বন্ধ গিয়েছিল এমন ৮০০ মিটার অংশ পরিষ্কার করা হয়।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে বদ্ধ খালের পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক করতে এবং আশপাশের এলাকার পরিবেশ উন্নয়নে অর্থায়ন করে আইডিএলসি। ডিএনসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মীদের পাশাপাশি অনেক স্বেচ্ছাসেবক এই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশ নেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান অভিযানের স্থান পরিদর্শন করে এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
আইডিএলসির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন—গ্রুপ চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার মাসুদ করিম মজুমদার, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং হেড অব বিজনেস সৈয়দ জাভেদ নূর এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং চিফ রিস্ক অফিসার আসিফ সাদ বিন শামস।
এছাড়াও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ এবং ফুটস্টেপস বাংলাদেশের কো-ফাউন্ডার ও প্রেসিডেন্ট শাহ রাফায়েত চৌধুরী আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় জনগণকে দায়িত্বশীল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সচেতন করার জন্য অভিযান পরিচালনার আগে প্রয়োজনীয় ব্রিফিং প্রদান করে ফুটস্টেপস বাংলাদেশ।
স্বেচ্ছাসেবীদের জন্য আয়োজিত বিশেষ নলেজ-শেয়ারিং সেশনে গুরুত্বপূর্ণ মতামত ও দিকনির্দেশনা দেন এ বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিত্ব শিল্পী ও সমাজকর্মী মোরশেদ মিশু, ফুটস্টেপস বাংলাদেশের কো-ফাউন্ডার ও প্রেসিডেন্ট শাহ রাফায়েত চৌধুরী এবং রেডঅরেঞ্জ কমিউনিকেশনের অপারেশনস ম্যানেজার মাহফুজুল হাসিব অনি।
ভবিষ্যতে এ ধরনের দূষণ ঠেকাতে এই উদ্যোগের আওতায় খালের পাশে ডাস্টবিন ও সচেতনতামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন, এবং সুরক্ষা বেষ্টনী তৈরির মতো কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে।