হোম > অর্থনীতি

দ্য লোডস্টারের প্রতিবেদন

তিন দশক পর ৩ হাজার কনটেইনার ধারণক্ষমতার ১২টি জাহাজ কিনছে বাংলাদেশ

প্রায় ৩ দশক পর কন্টেইনারবাহী জাহাজ কিনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ছবি: এআই দিয়ে তৈরি

বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজার কনটেইনার ধারণক্ষমতার ১২টি সেলুলার বক্সশিপ বা কনটেইনারবাহী জাহাজ কিনতে যাচ্ছে। জাহাজ ও অন্যান্য পরিবহনকেন্দ্রিক ইংল্যান্ডভিত্তিক সংবাদ প্ল্যাটফর্ম দ্য লোডস্টারের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই জাহাজগুলো কেনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আঞ্চলিক কনটেইনার পরিবহন বাজারে প্রবেশ করবে। একই সঙ্গে এই সিদ্ধান্ত বিএসসিকে প্রায় তিন দশক পর কনটেইনার শিপিং খাতে ফিরিয়ে আনবে। সূত্রমতে, বর্তমানে সংস্থাটি আটটি ওয়েট এবং ড্রাই বাল্ক জাহাজ পরিচালনা করছে এবং সর্বশেষ নব্বইয়ের দশকে একটি কনটেইনারবাহী জাহাজ পরিচালনা করেছিল।

বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মাহমুদুল মালেক জানান, কনটেইনার জাহাজ কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সরকার-সরকার ঋণচুক্তির আওতায় ছয়টি জাহাজ কেনা হবে। এই প্রকল্পে ব্যয় হবে প্রায় ৩১৩ মিলিয়ন ডলার। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ড (ইডিসিএফ) অনুমোদন করলেই এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক অব কোরিয়া বাংলাদেশকে ছয়টি জাহাজ কেনার জন্য ঋণ দেবে।’

মাহমুদুল মালেক আরও বলেন, ‘এই বিষয় এরই মধ্যে বাংলাদেশ ইডিসিএফের আওতায় এসেছে। এই বিষয়ে বিএসসি ইডিসিএফের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং এখন ঋণ প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাই (ফিজিবিলিটি স্টাডি) পরিচালনা করছে। এই সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন হওয়ার পর তহবিল বরাদ্দের অনুমোদন দেওয়া হবে।’ কমোডর মালেক জানান, জাহাজগুলো দক্ষিণ কোরিয়ার ‘দেই সান’ অথবা ‘হুন্দাই হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ’ এসব জাহাজ নির্মাণ করতে পারে।

তবে বাকি ছয়টি কনটেইনার জাহাজ কোথা থেকে বা কীভাবে কেনা হবে, সে সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। পাশাপাশি বিএসসি আরও দুটি বাল্ক জাহাজ কেনার পরিকল্পনা করছে এবং এর পাশাপাশি আরও দুটি বাল্ক জাহাজ ও দুটি ক্রুড ট্যাংকার কেনার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানির সম্মিলিত পরিমাণ ১৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। তবে গত বছরের শেষের দিকে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সরবরাহ চেইনে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে।

গত সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রামে কনটেইনার জটের পরিমাণ ছিল ৫৭ দশমিক ৫ ছিল। মাত্র দুই সপ্তাহ আগেও এই জট ছিল অর্ধেক। ফলে জাহাজ থেকে মাল খালাসের গতি ধীর হয়ে গেছে। এই সাম্প্রতিক দেরির প্রধান কারণ হলো ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বন্দরের প্রধান মোটর ও ট্রেইলার অপারেটরদের কর্মবিরতি।

তেল-পেঁয়াজে দাম বাড়তি, সবজিতে ফিরছে স্বস্তি

উত্তরা ব্যাংকের ২৫০তম শাখার উদ্বোধন

টানা চার মাস কমল রপ্তানি আয়

৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিল সিগারেট কোম্পানি

১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা শুরু রোববার

প্রশান্ত মহাসাগরে দুই প্রকল্পের অনুমোদন দিল এডিবি-বিশ্বব্যাংক

এক ব্যক্তি ও তিন প্রতিষ্ঠানকে ১৬ কোটি টাকা জরিমানা

১৪টি বন্ধ পাটকল বেসরকারি খাতে, আরও হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

মেট্রো রেলস্টেশনে ৯টি সুপারস্টোর চালু করবে এমজিআই

জনতা ব্যাংক পিএলসির ৮৬৬তম বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত