দেশে ডলারের প্রবাহ বাড়াতে রপ্তানিকারকদের আরও সুবিধা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে রপ্তানি আয় যখনই দেশে আনবে, ওই দিনের দর পাবেন তাঁরা। এতে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ বাড়ল রপ্তানি খাতের উদ্যোক্তাদের। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ-সংক্রান্ত আগের সার্কুলারের রেফারেন্সে নতুন এ নির্দেশনা জারি করেছে।
জানা যায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক কয়েকদিন আগে এক্সচেঞ্জ রেটের ‘ক্রলিং পেগ’ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ডলারের দাম ৭ টাকা বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেওয়া নির্দেশনার কারণে ডলারের দাম কম পাচ্ছিলেন রপ্তানিকারকেরা। সেটি কাটাতেই নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
নতুন নির্দেশনামতে, এখন থেকে যেদিন রপ্তানি আয় নগদায়ন করা হবে, সেদিনের ডলারের বিনিময় দর অনুসারে টাকা পাবেন রপ্তানিকারকেরা। ফলে তাঁরা দেরিতে নগদায়ন করলেও ডলারের বাড়তি দর পাওয়ার সুযোগ পাবেন।
জানা যায়, সাধারণত রপ্তানি শিপমেন্ট হওয়ার ১২০ দিনের মধ্যে রপ্তানি আয় দেশে নিয়ে আসার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে এসব আয়ের একটা অংশ সময়মতো দেশে আসে না। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রপ্তানি আয় যেদিনই রপ্তানিকারকেরা নগদায়ন করবেন, তাঁরা ওই দিনের ডলারের রেট পাবেন। ফলে আগে তাঁরা ডলারের দর নিয়ে যে বিভ্রান্তিতে ছিলেন, তা আর থাকছে না।
গত বছরের মার্চ মাসে এক সার্কুলার জারির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছিল, রপ্তানি চালান হওয়ার ১২০তম দিনে ডলারের যে দর থাকবে, আয় পরে এলেও রপ্তানিকারক সে দরই পাবেন। ডলারের বিনিময় দর বেড়ে গেলে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। তবে ডলারের দর কমে গেলে যেদিন আয় আসবে, সেদিনের দরই পাবেন রপ্তানিকারক।