স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্য আয়ের দেশে উত্তরণের পরও বাংলাদেশি পণ্যের জন্য শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা অব্যাহত রাখবে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ সফররত অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকে এ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
বৈঠক শেষে যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
দুই দিনের সফরে পেনি ওং সকালে ঢাকা পৌঁছান।
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি, বাংলাদেশের ১০০টি বিশেষ ইকোনমিক জোন এবং ৪০টি আইটি ভিলেজে অস্ট্রেলীয় বিনিয়োগ, বাংলাদেশিদের মৌসুমি কর্মসংস্থান, সেখানে প্রবাসীদের কল্যাণ, অবৈধ অভিবাসন রোধ, জ্বালানি ও পরিবেশ সংরক্ষণে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা এখানকার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোয় উন্নত প্রশিক্ষণ, দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুবিধাও চাওয়া হয়েছে।
গত চার বছরে দুদেশের বাণিজ্যের পরিমাণ বেড়ে চার বিলিয়ন অস্ট্রেলীয় ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা আগামী পাঁচ বছরে দ্বিগুণ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন হাছান মাহমুদ।
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, সামাজিক, অর্থনৈতিক, পরিবেশ সংরক্ষণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে ব্যাপক উন্নতি করেছে, তা আরো এগিয়ে নিতে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের পাশে থাকতে চায়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারত মহাসাগরীয় দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, মানবাধিকারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে প্রস্তুত। সমুদ্র এলাকায় সহযোগিতা বাড়াতে অস্ট্রেলিয়ার কোস্ট গার্ড প্রধান বাংলাদেশ সফর করবেন।
অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী এবং ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নাদিয়া সিম্পসন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।