রিজার্ভে খরা দিনদিন ঘনীভূত হচ্ছে। বিশেষ করে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধে বড় চাপে পড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত। আকুর দায় বাবদ ১১৮ কোটি ডলার (১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার) পরিশোধের পরে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার। যা বিগত ৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মানদণ্ড অনুযায়ী গণনা করায় রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বাদ দিলে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হবে ২৪ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, আকু হলো একটি আন্তর্দেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল ও পাকিস্তানের মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়। আর বাংলাদেশ আকুভুক্ত দেশের আমদানি ব্যয় ১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন পরিশোধের পরে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী ২০১৬ সালের এপ্রিলে প্রথমবারের মতো ২৯ বিলিয়ন ডলারের ঘর অবস্থান করে রিজার্ভ। ওই অর্থ বছরের শেষে রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। ২০১৭ সালের ২২ জুন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে। করোনার আগ পর্যন্ত রিজার্ভ ৩২ থেকে ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘরে ওঠানামার মধ্যে ছিল। কিন্তু ২০২১ সালের আগস্টে দেশের রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়েছিল।