হোম > অর্থনীতি > বিশ্ববাণিজ্য

রাশিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর তেলের বাজারে আগুন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

ওয়াশিংটন এবার সরাসরি রাশিয়ার বৃহৎ দুই তেল কোম্পানি রসনেফট ও লুকঅয়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ফলে বিশ্ববাজারে হঠাৎ বেড়ে গেছে তেলের দাম। আজ বৃহস্পতিবার এক দিনেই তেলের দাম বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার অবস্থানকে কেন্দ্র করে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারির পরপরই ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার প্রতি ব্যারেল ৩ দশমিক ৩৯ ডলার বা ৫ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৬৫ দশমিক ৯৮ ডলারে। অপর দিকে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই, একধরনের অপরিশোধিত তেল) তেলের দাম ৩ দশমিক ৩১ ডলার বা ৫ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ৬১ দশমিক ৮১ ডলার হয়েছে।

এ নিষেধাজ্ঞার ফলে চীন ও ভারতের মতো দেশগুলো, যারা রুশ তেলের বড় ক্রেতা, তারা এখন বিকল্প উৎস খুঁজতে বাধ্য হবে। দীর্ঘদিন ধরে রুশ তেল কেনায় চীন ও ভারত পশ্চিমা ব্যাংকিং ব্যবস্থার বাইরে চলে যাচ্ছিল। তাই রাশিয়াকে কোণঠাসা করতে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

স্যাক্সো ব্যাংকের বিশ্লেষক ওলে হ্যানসেন বলেন, চীন ও ভারতের শোধনাগারগুলোকে এখন বিকল্প সরবরাহকারী খুঁজতে হবে, নইলে তারা পশ্চিমা আর্থিক ব্যবস্থার বাইরে চলে যাবে।

এর আগে ব্রিটেনও রসনেফট ও লুকঅয়েলকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রাশিয়ার তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এনজি) আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ ১৯তম দফা নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ অনুমোদন করেছে।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পরপরই ব্রেন্ট ও ডব্লিউটিআইয়ের দাম ব্যারেলপ্রতি দুই ডলারের বেশি বেড়ে যায়। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে তেলের মজুত কমে যাওয়ায় দাম আরও বেড়ে গেছে।

ইউবিএস ব্যাংকের বিশ্লেষক জিওভান্নি স্টানোভো বলেন, তেলের বাজারে এ নিষেধাজ্ঞার প্রভাব অনেকটাই নির্ভর করবে ভারতের অবস্থানের ওপর। কারণ, ভারত রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্রেতা। তারা কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায় এবং রাশিয়া নতুন ক্রেতা খুঁজে পায় কি না, এটিই এখন ভাবার বিষয়।

রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা জারির পর ভারত ছিল রুশ ক্রুড অয়েলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। কিন্তু নতুন নিষেধাজ্ঞার কারণে ভারতীয় শোধনাগারগুলো এখন রুশ তেল আমদানি কমিয়ে আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ভারতের বেসরকারি তেল রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ রুশ তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। তারা আমদানি পুরোপুরি বন্ধ বা কমিয়ে আনতে পারে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র। তবে এ নিষেধাজ্ঞাগুলো তেলের প্রকৃত সরবরাহ বা রাশিয়ার রপ্তানি আয় কতটা প্রভাবিত করবে, তা নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে।

রিস্ট্যাড এনার্জির বিশ্লেষক ক্লাউদিও গ্যালিমবার্তি বলেন, গত সাড়ে তিন বছরে রাশিয়ার ওপর যত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তার বেশির ভাগই দেশটির তেল উৎপাদন বা রাজস্বে বড় কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি।

এদিকে ওপেক প্লাস দেশগুলোর উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় বাজারে অতিরিক্ত তেল সরবরাহ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি বিশ্ববাজারে তেলের মূল্যবৃদ্ধিকে কিছুটা সীমিত করতে পারে।

বৈশ্বিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইউবিএসের তথ্য অনুযায়ী, আগামী মাসগুলোতে ব্রেন্ট তেলের দাম ৬০ থেকে ৭০ ডলারের মধ্যে ওঠানামা করতে পারে। এদিকে মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইআইএ) জানিয়েছে, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে অপরিশোধিত তেল, গ্যাসোলিন ও ডিজেলজাত পণ্যের মজুত কমেছে—যা বাজারে চাহিদা বাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও কর্মীদের সাফল্য উদ্‌যাপনে আবুল খায়ের স্টিলের ‘একেএস-একসাথে আগামীর পথে’

ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত

ব্যাংকের নিট মুনাফা ছাড়া উৎসাহ বোনাস বন্ধ

এক ক্লিকেই ভ্যাট পরিশোধ

বেপজায় ১২৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে চীনা কোম্পানি

বাংলাদেশ ব্যাংকে ই-ডেস্ক সিস্টেম চালু

পাটজাত পণ্য রপ্তানির বিপরীতে ডিসকাউন্ট দাবির নির্দেশ

আরও ২০ কোটি ২০ লাখ ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

যে পরিমাণে দুর্নীতি হয়েছে, আজীবন কারাগারে রাখলেও সাজা যথেষ্ট হবে না: অর্থ উপদেষ্টা

নগদে লেনদেন করে জামাল ভূঁইয়ার কাছ থেকে আইফোন পেলেন বরিশালের সানি বেপারী