টাঙ্গাইলে মির্জাপুরে পুলিশের বেশে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দুজনকে আটক করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ধেরুয়া আন্ডারপাস এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়। এ সময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত হওয়া একটি নোয়াহ গাড়ি, একটি হ্যান্ডকাফ, একটি পুলিশ ব্যাগ ও তিনটি ওভারকোট (পুলিশের পোশাক) জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মির্জাপুর থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও চার-পাঁচজনের নামে মামলা করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন ঢাকার শ্যামপুর থানার করিমুল্লাহবাগ এলাকার কাউছার আকরাম (৫৭) ও চট্রগ্রাম জেলার বোয়ালমারী থানার পূর্ব গোমদণ্ডী এলাকার মো. শওকত আলী।
দেওহাটা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নূর নবী বলেন, ‘রাতে মহাসড়কে টহলরত অবস্থায় ধেরুয়া এলাকায় একটি নোয়াহ গাড়ির পাশে কয়েকজনকে সন্দেহজনক অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এগিয়ে গেলে তারা নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দেয়। তাদের কাছে পুলিশের ওভারকোট ও হ্যান্ডকাফ ছিল। তাদের পরিচয় বিস্তারিতভাবে জানার চেষ্টা করা হলে কয়েকজন দৌড়ে পালিয়ে গেলেও দুজনকে আটক করতে সক্ষম হই।’
জব্দকৃত গাড়ির মালিক মুহাইমুনিল ইসলাম জানান, তিনি এসিআই কোম্পানির ঢাকার করপোরেট অফিসে চাকরি করেন। গাড়িটি নিজে ব্যবহারের পাশাপাশি ভাড়াও দিয়ে থাকেন। তিনি বলেন, ‘নিজেদের পুলিশের লোক পরিচয় দিয়ে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উবারের মাধ্যমে কয়েকজন আমার গাড়িটি ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল যাওয়ার জন্য ভাড়া করেন। রাত ৩টার দিকে আমার ড্রাইভার শওকত আমাকে ভয়েচ বার্তার মাধ্যমে জানান, যারা গাড়ি ভাড়া করেছে, তাদের আচরণ সন্দেহজনক।’ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. জুয়েল মিয়া বলেন, আটককৃতদের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে সোপর্দ করা হবে। মির্জাপুর থানার ওসি রাশেদুল ইসলাম বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।