টাঙ্গাইলের নাগরপুরে নিখোঁজ হওয়ার ১১ দিন পর কলেজছাত্র আরিফ মিয়ার (২১) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সন্দেহভাজন হিসেবে আটক নিহতের চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে পার্শ্ববর্তী মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার তিল্লী ব্রিজের নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে সাটুরিয়া ও নাগরপুর থানার-পুলিশ।
এদিকে আজ শনিবার আটক জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া জাহাঙ্গীর একই গ্রামের দারগ আলীর ছেলে।
নিহত আরিফ নাগরপুর সদর ইউনিয়নের নঙ্গিনাবাড়ী গ্রামের সৌদিপ্রবাসী মো. হোসেন মিয়ার ছেলে। তিনি টাঙ্গাইল কাগমারীর সরকারি এমএম আলী কলেজের বিএ (অনার্স) প্রথম বর্ষের ছাত্র।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৮ আগস্ট (সোমবার) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আরিফ নিজের মোটরসাইকেল নিয়ে চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীরের সঙ্গে বাড়ি থেকে টাঙ্গাইলের উদ্দেশে বের হয়ে যান। ওই দিন বিকেলে জাহাঙ্গীর একা বাড়ি ফিরে আসেন। এ সময় বাড়ির লোকজন জাহাঙ্গীরের কাছে আরিফের কথা জানতে চাইলে বিভিন্ন টালবাহানা করে একেক সময় একেক তথ্য দিয়ে পরিবারকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন। অবশেষে দুই দিন পেরিয়ে গেলেও আরিফের কোনো সন্ধান না পেয়ে ১০ আগস্ট (বুধবার) নাগরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
এ বিষয়ে নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই মো. জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত জাহাঙ্গীরের দেওয়া তথ্যমতে সাটুরিয়া ও নাগরপুর থানার পুলিশ যৌথভাবে আরিফের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে জাহাঙ্গীর, আরিফ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। আটক জাহাঙ্গীরকে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে।’