হোম > সারা দেশ > সিলেট

ঈদের ছুটিতে জাফলংসহ গোয়াইনঘাটের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ভিড়

মিনহাজ মির্জা, গোয়াইনঘাট (সিলেট)

ঈদুল ফিতরের ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে। আজ সোমবার ঈদের তৃতীয় দিনও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানকার পাহাড়, পাথর আর স্বচ্ছ জলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন পর্যটকেরা।

উপজেলার জাফলং, বিছনাকান্দি, সোয়াম্প ফরেস্ট রাতারগুল ছাড়াও পানতুমাই ঝরনা, জাফলং চা-বাগান ও মায়াবী ঝরনা পর্যটকদের পদচারণে মুখর ছিল। পরিবার-পরিজন ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে পর্যটন স্থানগুলোতে ঘুরে বেড়ান তাঁরা। প্রকৃতির কাছাকাছি আসতে পেরে ও রূপ উপভোগ করতে পেরে খুশি তাঁরা।

তবে পর্যটকের বেশি ভিড় ছিল জাফলংয়ে। দর্শনার্থীদের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ছিলেন তরুণ-তরুণী। রোববার শুধু জাফলংয়ে প্রায় এক লাখের মতো পর্যটক বেড়াতে এসেছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আজ সোমবার দিন শেষে ওই সংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নদী, স্বচ্ছ জল আর ভারতের মেঘালয়ের পাহাড়ের দৃশ্য দেখার পাশাপাশি এখানকার খাসিয়া পল্লিও আকৃষ্ট করে ভ্রমণপিয়াসীদের।

আজ সোমবার দুপুরে জাফলংয়ে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই এখানে দলবেঁধে পর্যটকেরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। দুপুরের দিকে সব বয়সের পর্যটকেরা জিরো পয়েন্টে এসে ভিড় করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। নৌকা নিয়ে অনেক পর্যটককে মায়াবী ঝরনা ও খাসিয়া পল্লিতে ছুটতে দেখা যায়।

এর আগে ঈদের দ্বিতীয় দিন সকালে প্রায় তিন ঘণ্টার মতো বৃষ্টি থাকায় পর্যটকেরা কিছুটা সমস্যায় পড়েছিলেন। পরে আবহাওয়া অনুকূলে আসে। বৃষ্টি কমার পর পর্যটকেরা জিরো পয়েন্টে ছুটে আসেন। পর্যটকদের নিরাপত্তায় এখানে ট্যুরিস্ট পুলিশ, থানা-পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন।

ঢাকা থেকে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিয়াদ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে পরিবারের সদস্যরা মিলে ঘুরতে এসেছি। জাফলং আসলেই খুব সুন্দর। পাহাড় আর পাথরের সৌন্দর্য মুগ্ধ করেছে।’

তরুণী নাদিরা আক্তার জানান, ‘এখানকার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছি। পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসছি। খুব ভালো লাগছে।’

এদিকে প্রচুর পর্যটক আসায় এখানকার হোটেল-মোটেলগুলোতে ছিল ভিড়। রেস্তোঁরাগুলোতেও ব্যস্ততা বেড়ে যায়। পর্যটকের সমাগমে খুশি এখানকার পর্যটন ব্যবসায়ীরাও। তাঁদের বেচাকেনাও ভালো।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, রমজান মাসজুড়ে অনেকটা পর্যটকশূন্য ছিল এলাকাটি। ঈদের দিন থেকে পর্যটক বেড়াতে আসছেন। এতে তাঁদের ভালো বেচাকেনা হচ্ছে।

আব্দুল হক নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে সকাল থেকেই এখানে প্রচুর পর্যটক এসেছেন। বেচাকেনাও ভালো হয়েছে। তবে দুদিন সকালে কিছুটা বৃষ্টি হওয়ায় বেচাকেনা কমে যায়। বৃষ্টি না থাকলে বেচাকেনা আরও বাড়ত। আজ বৃষ্টি না থাকায় ভালোই বেচাকেনা হচ্ছে। আশা করছি সামনে বেচাকেনা আরও বাড়বে।’ 

হোটেল জাফলং পয়েন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইলিয়াস উদ্দিন লিপু বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে এখানে প্রচুর পর্যটক বেড়াতে এসেছেন। তাতে আমাদের ব্যস্ততা বেড়ে গেছে। আবাসিক হোটেলের রুমগুলোতে শতভাগ বুকিং রয়েছে। পর্যটকদের সেবা দিতে আমরা সর্বদা প্রস্তুত রয়েছি।’

জাফলং ট্যুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ মো. রতন শেখ জানান, ‘ঈদের ছুটিতে পর্যটকে মুখরিত জাফলং। ঈদের পরদিন থেকে দুই দিনে প্রায় দুই লাখের বেশি পর্যটক বেড়াতে এসেছেন। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা কাজ করছেন। অতীতের মতো পানিতে না নামার জন্য আমরা মাইকিং করে পর্যটকদের সতর্ক করে যাচ্ছি। এ ছাড়া পর্যটকেরা বেড়াতে এসে যাতে কোনোভাবেই ভোগান্তিতে না পড়েন সেদিকে আমাদের নজর রয়েছে।’

মৌলভীবাজারের ৪টি আসন: নজরে চা-বাগান ও নতুন ভোটার

সিলেটে নিখোঁজ যুবকের হাত-পা ও মুখ বাঁধা লাশ উদ্ধার

নবীগঞ্জে ইটভাটার মালিককে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

সিলেট বিভাগে ৩ প্রবাসী, ১ ব্যবসায়ী ও ১ শিক্ষার্থীকে প্রার্থী করল এনসিপি

সিকৃবির অধ্যাপক ড. লাকীকে সাময়িক বরখাস্ত

সিআইডি কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাত: ‘ছাত্রলীগ নেতা’ গ্রেপ্তার, ধারালো অস্ত্র উদ্ধার

সিলেটে পাথর ও বালু লুটের দায়ে ৮ জনের কারাদণ্ড

সিলেটের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

সিলেটে যুবককে কুপিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার