খানাদানা-বেতনসহ আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস—মহান মে দিবস পালনের দাবিতে মশাল মিছিল করেছেন সিলেটের হোটেলশ্রমিকেরা। আজ বুধবার সন্ধ্যায় হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা নগরীর কীন ব্রিজের উত্তর পাশে জমায়েত হয়ে মশাল মিছিল বের করেন।
মিছিলটি কোর্ট পয়েন্ট, জিন্দাবাজার, শহীদ মিনার, চৌহাট্টা ও আম্বরখানা পয়েন্ট হয়ে পুনরায় কোর্ট পয়েন্টে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে নেতারা বলেন, মালিকদের সব রকম অপকৌশল ও চাতুরতা সম্পর্কে শ্রমিকেরা সজাগ, সতর্ক ও সচেতন। মহান মে দিবসের বিপ্লবী চেতনাকে ধারণ করে দাবি ও অধিকার বাস্তবায়নের আন্দোলন বেগবান করতে হবে।
নেতারা আরও বলেন, হোটেল সেক্টরে প্রতিবছর মে দিবস এলে মালিকেরা শ্রমিকদের ছুটি না দেওয়ার জন্য নানা টালবাহানা করে থাকেন। সরকার বিভিন্ন সভা-সেমিনারে শ্রমিকদের ছুটির প্রতিশ্রুতি দিলেও মে দিবসে শ্রমিকদের কাজে যোগদান করাতে নানা অপকৌশল গ্রহণ করেন। শ্রমিকেরা কাজে যোগদান না করলে তাঁদের চাকরিচ্যুত করা হয়, যা দেশের শ্রম আইন পরিপন্থী। শ্রম মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন ও হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে চেম্বার্স অব কমার্স ও মালিক সমিতির বৈঠকের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে মালিক ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন তাঁরা।
নেতারা জানান, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সকালে নগরীর ঐতিহাসিক কোর্ট পয়েন্টে শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে জেলার সব হোটেল-রেস্টুরেন্ট, সুইটমিট, বেকারি, ফাস্ট ফুডসহ সর্বস্তরের শ্রমিকের উপস্থিতি কামনা করে সমাবেশ শেষ করা হয়।
শ্রমিকনেতা মো. ছাদেক মিয়ার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের আবুল কালাম আজাদ সরকার, মো. খোকন আহমদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের রমজান আলী পটু, জাতীয় ছাত্রদলের শুভ আজাদ শান্ত, স মিল শ্রমিক ইউনিয়নের রুহুল আমিন, হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের মো. মনির হোসেন, শাহীন আহমদ, ইমান আলী, জয়নাল মিয়া, রাশেদ আহমদ ভূঁইয়া, সাহাব উদ্দিন, সুনু মিয়া সাগর, মুমিন মিয়া, মো. সাইমন প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের আনোয়ার হোসেন।