জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা খুব ভালো নির্বাচন আশা করি। নির্বাচনে কোনো দেশের হস্তক্ষেপ আমাদের দেশে থাকুক, এটা কাম্য নয়। আমরাও কোনো দেশের কোনো বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। আমরা সবাইকে বন্ধু হিসেবে দেখতে চাই।’
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘কেউ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করবেন না। তাহলে আমাদের শহীদদের প্রতি আমরা ইমানদারি রক্ষা করতে পারব না। আমাদের শহীদের রক্তের অমর্যাদা হয়, এমন কোনো নির্বাচন আমরা দেখতে চাই না। আমরা শহীদদের রক্তের মর্যাদা রক্ষা করে খুব সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করি।’
আজ রোববার দুপুরে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার পৌরসভার মিলনায়তনে পেশাজীবী প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন।
জামায়াতের আমির বলেন, ‘অতীতে যে যা করেছেন, তার কিছু পাওনা তাঁরা পেয়েছেন, আরও পাবেন। বাকিটা আখিরাতেও পাবেন। আমরা একটা প্রতিহিংসামুক্ত সমাজ দেখতে চাই। আমি এই উপজেলার সন্তান। আমার বিরুদ্ধেও যুদ্ধাপরাধের মামলা করার চেষ্টা হয়েছে। তখন আমার সেই বয়সও ছিল না। আমি সেই অর্থে কোনো সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলাম না। এখন যেহেতু আমি জামায়াতের আমির। তাই আমাকে যুদ্ধাপরাধী বানানোর চেষ্টা হয়েছে।’
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘আমি কুলাউড়ার মানুষের প্রতি খুবই কৃতজ্ঞ। তাঁরা যাঁদের কাছে গেছেন, উপযুক্ত জবাব পেয়ে চলে গেছেন। তাঁরা একবার দুবার নয়, অনেকবার বৃথা চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কুলাউড়ার একটা মানুষও আমাকে নিয়ে খারাপ কোনো কথা বলেননি। আমি এই ঋণ আজীবনেও শোধ করতে পারব না।’
জামায়াতের আমির বলেন, ‘আমার প্রতি যদি এ রকম আচরণ করা হয়, তাহলে রাষ্ট্রের অন্য নাগরিকদের সঙ্গে কী করা হয়েছে, তা এখান থেকেই বোঝা যায়। আমরা এটার কোনো প্রতিশোধ নেব না। কে বা কারা করেছেন, আমরা সব জানি। প্রতিহিংসা আর প্রতিশোধ যদি নিতেই থাকি, তাহলে এর কোনো শেষ নাই। এই সমাজ একটা অসুরের সমাজে পরিণত হবে। একটা মানবিক সমাজ আর বানাতে পারব না। তবে যারা অপরাধ করেছেন, তাঁদের ন্যায়বিচার হোক, এটা আমাদের বলিষ্ঠ দাবি। এখানে আমরা কোনো ছাড় দেব না।’