সিলেটে মুজিবুর হত্যা মামলায় নারীসহ ছয়জনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। আজ বুধবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সিলেট এয়ারপোর্ট থানার লুসাইন এলাকার মৃত মখলিছ আলীর ছেলে বদরুল মিয়া (২৮), মৃত মনু মিয়ার স্ত্রী আফরেতা বিবি (৬৫), মৃত ছয়ফুল মিয়ার স্ত্রী রোকসানা বেগম (৩৬), মুহিবুর রহমানের স্ত্রী শেলী বেগম (২৮), আজির উদ্দিনের স্ত্রী আয়শা বেগম (৩২) এবং সিলেট এয়ারপোর্ট থানার টিলাপাড়া এলাকার আমিন মিয়ার স্ত্রী বেগম বিবি (৪২)।
র্যাব-৯-এর মিডিয়া অফিসার (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) কে এম শহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৬ এপ্রিল দুপুরে সিলেটের লুসাইন এলাকায় বাল্যবিবাহ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে ভিকটিম মুজিবুর রহমানের বাড়িতে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা অনধিকার প্রবেশ করেন। এ সময় তাঁরা মুজিবুরকে লোহার রড ও লাঠিসোঁটা দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন।
মুজিবুর জ্ঞান হারিয়ে ফেললে বিবাদীরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে নিহত ব্যক্তির স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
জানতে চাইলে কে এম শহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এসএমপির এয়ারপোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। ওই মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে র্যাব-৯-এর গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
এ বিষয়ে এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে।