মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পানিতে পড়ে যাওয়ার পর এক শিশুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে শিশুটিকে বাসায় নেওয়ার পর দাফন কাফনের ব্যবস্থা করার সময় হঠাৎ নড়েচড়ে ওঠে। এরপর শিশুটির পরিবার আবারও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পর শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবারও মৃত ঘোষণা করেন।
বুধবার সকাল ৯টায় উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের ঘোড়ামারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জীবিত শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসকের ওপর।
শিশুর চাচা বিল্লাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, `আমার ভাই মাসুক মিয়ার ৩ বছরের শিশু আশরাফুল সকাল ৯টায় বাড়ির পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত ঘোষণার পর আমরা শিশুটিকে বাড়িতে নিয়ে গেলে দাফন কাফনের ব্যবস্থা করার সময় হঠাৎ নড়াচড়া করতে দেখা যায়। শিশুটি জীবিত আছে দেখে আমরা আবারও নিয়ে আসি কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। তখন হাসপাতালে ডাক্তার শিশুটিকে ভর্তি না করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার জন্য বলেন। আমরা শিশুটিকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।'
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া বলেন, `আমি সিলেটে একটি সভায় আছি তবে জীবিত শিশুকে মৃত ঘোষণার বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখছি।'
শিশুর পরিবার অভিযোগ করে বলেন, `দায়িত্বহীন কর্মকাণ্ড ও অদক্ষ চিকিৎসকের জন্য আমাদের শিশুটি মারা গেল। তাঁরা বলেন, জীবিত শিশুকে হাসপাতাল ও বাড়িতে দুই বার আসা যাওয়ার ফলে শিশুটি সময়মতো সুচিকিৎসা পায়নি। কর্তব্যরত চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় জীবিত শিশুকে মৃত ঘোষণা করায় দীর্ঘ সময় আমরা হেনস্তার শিকার হয়েছি। আমাদের শিশুটি মারা গেল এ দায় কে নিবে? '