বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘পুলিশ ও পেটোনা বাহিনী দিয়ে হামলা করে, বাস ট্রাক বন্ধ করে সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছে সরকার। কিন্তু জনগণকে আটকে রাখতে পারেনি। জনগণ ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছে, সমাবেশ করেছে। বাস ট্রাক বন্ধ করে প্রতিদিন দেশের কত কোটি টাকার ক্ষতি করা হলো তার জবাব সরকারকে দিতে হবে।’
আজ শনিবার সিলেট নগরের সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে গয়েশ্বর বলেন, ‘তিনি বলছেন খেলা হবে। যখন পাপিয়া-পরীমণিরা ধরা পরে তখন আওয়ামী লীগ নেতাদের বুক ধড়ফড় করে। আমিতো জানি তিনি দরজা বন্ধ করে খেলা ছাড়া কোনো খেলা জানেন না। আনাড়ি খেলোয়াড়দের সঙ্গে বিএনপি খেলে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে খেলুন। খালেদা জিয়া, তারেক রহমান লাগবে না আমাদের জায়মার (তারেক রহমানের মেয়ে) সঙ্গেও শেখ হাসিনা জামানত হারাবেন। আজকে জানতে চাই—প্রশাসন, পুলিশ দিয়ে বাস-ট্রাক বন্ধ করে দেশের কত টাকা ক্ষতি করেছেন?’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যত টাকা ঋণ করা হয়েছে সেই টাকার সুদ দেওয়ার মতো টাকাও কোষাগারে নেই। সরকার লুটে নিয়েছে। আজকে গণতন্ত্রের অবস্থা ইলিয়াস আলীর মতো। ইলিয়াস গুম, গণতন্ত্রও গুম।’
যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধের দল আমরা ভয় পাই না। আজকের সমাবেশ বিএনপির নয়; দেশের মেহনতি মানুষের সমাবেশ। এক দফা এক দাবি খুনি হাসিনা তুই কবে যাবি। চোর চোর বিশ্ব চোর শেখ হাসিনা ভোট চোর।’
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব মিফতাহ সিদ্দিকীর পরিচালনায় বিশেষে অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন—ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান, ইলিয়াসপত্নী তাহসিনা রুশদী লুনা, ডা. এনামুল হক চৌধুরী, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন, সহ কৃষি ও ঋণ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাক, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্রদলের সভাপতি রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।