সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার বিকেলে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
জানা যায়, আজ বিকেল পৌনে ৩টায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ, নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদ ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস। এ সময় তাঁরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, বিভাগীয় প্রধান এবং শিক্ষকদের সঙ্গে সব সমস্যা নিয়ে আলোচনায় বসেন উপাচার্য। উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়ে এক সপ্তাহের সময় চেয়েছেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা তা না মেনে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন। পরে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ উপাচার্য ভবন থেকে বের হয়ে তাঁর বাসভবনে যেতে চাইলে বাধা দেন আন্দোলনকারীরা। একপর্যায়ে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর ভবনের সব বহির্গমন পথে তালা ঝুলিয়ে দেন তাঁরা। এরপর কোষাধ্যক্ষ, ছাত্র উপদেষ্টা, প্রক্টর এবং অন্য শিক্ষকেরা ভেতরে ঢুকতে চাইলে তাঁদেরও বাইরে আটকে রাখা হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি কল্পনা করতে পারিনি আমার ওপরও হামলা করা হবে। শিক্ষার্থীদের এমন আচরণে ভীষণভাবে কষ্ট পেয়েছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ ও সহকারী প্রাধ্যক্ষদের পদত্যাগ, হলের যাবতীয় অব্যবস্থাপনা দূর করে সুস্থ-স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত এবং ছাত্রীবান্ধব ও দায়িত্বশীল প্রাধ্যক্ষ কমিটি নিয়োগের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলন করছেন হলের কয়েক শতাধিক ছাত্রী। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে অবস্থান নেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তিন দফা দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য সব বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন তাঁরা।
ছাত্রীদের এ দাবিগুলোর বিষয়ে বৃহস্পতিবার উপাচার্য বলেছিলেন, নতুন শিক্ষকের সংকট রয়েছে। তাই এ মুহূর্তেই নতুন প্রভোস্টও নিয়োগ সম্ভব নয়। ছাত্রীদের দাবি ছিল, প্রভোস্ট কমিটি যেন তাদের আচরণের জন্য ছাত্রীদের ‘সরি’ বলে। উপাচার্য বলেন, একজন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন না।