সিলেটে আট বছর আগের চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের মামলায় আদালত শিপন আহমদ নামে এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার শিপন আহমদ (২৬) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৯। নিকটস্থ থানায় তাঁকে হস্তান্তর করার পর র্যাব জানতে পারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওই আসামি আর গ্রেপ্তার শিপন আহমেদ এক নন। পরে তাঁকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
আসামির নাম ও তাঁর বাবার নাম মিল থাকায় ভুল-বোঝাবুঝিতে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় নিশ্চিত করেন সিলেট মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুনু মিয়া।
ওসি মোহাম্মদ নুনু মিয়া বলেন, মামলার প্রধান আসামি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শিপন সিলেট নগরের সুবিদবাজার এলাকার মানিক মিয়ার ছেলে। আর যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তিনি সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজারের মানিক মিয়ার ছেলে। পরে তাঁকে তাঁর পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে সিলেট নগরের দক্ষিণ সুরমার কায়েস্থরাইল এলাকা থেকে শিপনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-৯-এর মিডিয়া উইং জানায়, পূর্বশত্রুতার জেরে ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় মো. রাজু আহমদ (১৯) ও এস এম তাপু মিয়া (৩৫) সিলেট নগরের খাদিমনগরে খুন হন। খাদিমনগর বিসিক শিল্প নগরের বনফুল কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন রাজু ও তাপু।
এ ঘটনায় রাজুর বড় ভাই বাদী হয়ে সিলেটের শাহপরাণ (রহ.) থানায় অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। ২০২৩ সালের ১৫ অক্টোবর মো. শিপন আহমদসহ তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। ঘটনার পর থেকে শিপন পলাতক।
র্যাব-৯-এর সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. মশিহুর রহমান সোহেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকালকে (বৃহস্পতিবার) আমরা একজনকে ধরেছি। তিনি শিপন। থানা থেকে বলা হয়েছে, তিনি ওই শিপন নন। তাঁদের নাম ও বাবার নাম একই হওয়ায় এই ভুল-বোঝাবুঝিটা হয়। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’