শারদীয় দুর্গোৎসব এবং সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা চার দিনের ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলোয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকেরা গোয়াইনঘাটের জাফলং, বিছনাকান্দি ও রাতারগুলের দর্শনীয় স্থানে ভিড় জমায়।
গত বুধবার থেকে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত হাজারো ভ্রমণপিয়াসি ভিড় জমিয়েছে গোয়াইনঘাটে। ছুটির প্রথম দিন থেকে পর্যটকেরা ছুটে আসে পাহাড়, পাথর আর স্বচ্ছ জলের স্রোতোধারা দেখতে। বৃহস্পতিবার দিনভর মেঘলা আকাশ এবং বৃষ্টির মাঝেও পর্যটকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
উপজেলার জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র প্রকৃতির কন্যা জাফলংয়ে সবচেয়ে বেশি পর্যটক ঘুরতে আসে। সকাল থেকে দল বেঁধে পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ঘুরতে আসা মানুষের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে জাফলং। মেঘালয়ের পাহাড়, ঝরনা ও ঝুলন্ত ব্রিজ ঘুরে তারা মুগ্ধ। কেউ ছবি তুলেছে, কেউবা নৌকায় চড়ে খাসিয়াপল্লি ও চা-বাগান ঘুরে দেখেছে।
হোটেল-মোটেলের ৮০ শতাংশ কক্ষ আগে থেকে বুক করা ছিল। পর্যটকদের কারণে স্থানীয় রেস্টুরেন্টগুলোতেও ব্যস্ততা বাড়ে। ব্যবসা ভালো হওয়ায় খুশি স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও। ফটোগ্রাফার থেকে শুরু করে কসমেটিকস দোকানিদের ব্যস্ততাও বেড়েছে।
জাফলং পর্যটন হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি বাবলু বখত বলেন, টানা ছুটি উপলক্ষে আগে থেকে প্রায় সব কটি হোটেলের রুম বুকিং ছিল। পর্যটকেরা যাতে এখানে এসে কম খরচে নিরাপদে থাকতে পারে, সেদিকে লক্ষ রাখা হয়।
জাফলং পর্যটন কেন্দ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হোসেন মিয়া বলেন, পূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় জাফলংয়ে পর্যটক বেড়েছে। ব্যবসায়ীরাও ভালো বেচাকেনা করেছেন।
খুলনা থেকে পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে আসা কলেজছাত্রী পিংকি আক্তার বলেন, টানা চার দিনের ছুটি পেয়ে পরিবারের সঙ্গে জাফলংয়ে বেড়াতে এসেছি। এখানকার পাহাড়, পানি আর ঝুলন্ত ব্রিজ দেখে মুগ্ধ হয়েছি। অনেক দিন পর বেড়াতে এসে ভালো লাগছে।
পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা এবং ভ্রমণ আনন্দদায়ক করতে ট্যুরিস্ট পুলিশ তৎপর রয়েছে জানিয়ে জাফলং ট্যুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ তপন তালুকদার বলেন, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ও সেবা দিতে প্রতিটি পয়েন্টে ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পর্যটকেরা যাতে নিরাপদ ও স্বচ্ছন্দে ঘোরাফেরা করতে পারে, সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’