হোম > সারা দেশ > সিলেট

শিক্ষকদের আনা খাবার ফেরত দিলেন অনশনরত শিক্ষার্থীরা

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অনশনের ষষ্ঠ দিনে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে এসেছিলেন শিক্ষকেরা। কিন্তু তাঁদের খাবার ফিরিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। উপাচার্যের পদত্যাগের পরই অনশন ভাঙবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। 

আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আলমগীর কবিরের নেতৃত্বে অনশনরত শিক্ষার্থীদের জন্য খাবার নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তাঁরা অবরুদ্ধ উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদের জন্যও খাবার নিয়ে যান। 

শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষকেরা আমাদের খোঁজ নিতে এসেছিলেন, এ জন্য তাঁদের ধন্যবাদ। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা অনশন ভাঙব না। 

এর আগে দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে অনশন ভেঙে শিক্ষামন্ত্রী কিংবা কারও সঙ্গে আলোচনায় বসবেন না বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। 

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকেরা পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে চাইলে শিক্ষার্থীদের পক্ষে মোহাইমিনুল বাশার রাজ বলেন, ‘এই প্রশ্নটা আমাদের জন্য খুবই কষ্টের। পরবর্তী কর্মসূচির বিষয়ে ভাবাটা খুবই বেদনাদায়ক। মৃত্যু ছাড়া সামনে আর কোনো কর্মসূচি নেই। হয়তো আন্দোলনকারী সব শিক্ষার্থীকে গণঅনশনে যোগ দিতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে শেষে হাসপাতালের পক্ষ থেকে অনশনরতদের জন্য দেওয়া খাবার সাংবাদিকদের দেখানো হয়। শিক্ষার্থীরা জানান, হাসপাতালে থাকাকালে কোনো অনশনকারী খাবার গ্রহণ করেনি, এগুলো পথশিশুদের বিলিয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া গত শনিবার গণঅনশনের ঘোষণা দিয়ে সেখানে আরও ৫ শিক্ষার্থী যোগ দেন। অনশনরতদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন চিকিৎসা নিয়ে ফিরে আবারও অনশনে যোগ দিয়েছেন। 

এদিকে নিজ বাসায় অবরুদ্ধ উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের জন্য খাবার এনেছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের দুই কাউন্সিলর। তবে শিক্ষার্থীদের আপত্তিতে খাবার পৌঁছে দিতে পারেননি তাঁরা। একই সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের জন্যও খাবার নিয়ে এসেছিলেন ওই দুই কাউন্সিলর। ওই খাবারও গ্রহণ করেননি শিক্ষার্থীরা। 

গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে উপাচার্যের বাসভবনের বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন শিক্ষার্থীরা। উপাচার্যের বাসার সামনে অবস্থান নিয়েছেন তাঁরা। ফলে নিজ বাসায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন উপাচার্য। শিক্ষার্থীরা জানান, পুলিশ ছাড়া কেউ উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না।

উল্লেখ, গত ১৩ জানুয়ারি রাত থেকে শুরু হওয়া প্রভোস্ট বিরোধী আন্দোলনে ১৬ জানুয়ারি পুলিশের হামলা চালিয়ে ৩০ শিক্ষার্থীকে আহত করলে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি ওঠে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ এবং শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশনসহ আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। 

সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা, নারী–শিশুসহ আটক ১১

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

জাফলংয়ে বালুচাপায় শ্রমিকের মৃত্যু

সিলেট-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ইলিয়াসপত্নী লুনা ও ছেলে অর্ণব

সিলেটে পরিত্যক্ত অবস্থায় অবিস্ফোরিত মর্টার শেল উদ্ধার

হবিগঞ্জে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে জামায়াতের প্রার্থীকে শোকজ

সিলেটে জুয়া খেলা অবস্থায় আটক ৭

ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর উদ্বোধন করলেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা

জৈন্তাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত

সিলেটে ট্রলির ধাক্কায় মসজিদের ইমাম নিহত