‘প্রতিদিনের মতো বাসটি বন্ধ করে আমি বাড়িতে চলে যাই বিকেল ৫টার দিকে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে শুনতে পাই আমার বাসে আগুন লেগেছে। রওনা দিয়ে রাত দেড়টার দিকে এসে দেখি গাড়ির সবকিছু পুড়ে গেছে। আমি নিজেই ড্রাইভার ছিলাম। ছয় বছর আগে গাড়িটি কিনি কিস্তিতে। এই গাড়ির পেছনে প্রায় ২৫ লাখ টাকা খরচ করেছি, এক মুহূর্তে আমার সব শেষ হয়ে গেল। এখনো লোন পরিশোধের বাকি।’ আহাজারি করে বলছিলেন পুড়ে যাওয়া বাসের চালক ও মালিক হেলাল মিয়া।
মৌলভীবাজার পৌরসভার ঠিক বাইরে চাঁদনীঘাট এলাকায় গতকাল সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা যীশু তালুকদার জানান, ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। গাড়ির পেছনের অংশ পুড়ে গেছে। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘গাড়ির ভেতরে হেলপার ঘুমাচ্ছিল কয়েল জ্বালিয়ে। সে খেয়াল না করে ঘুমিয়ে পড়ে। ততক্ষণে আগুন ধরে যায়।’
তবে হেলাল মিয়া হেলপার রেজুর বরাত দিয়ে বলেন, ‘রেজু প্রথমে দোকানে টিভি দেখছিল। পরে সে দোকান থেকে ঘুমানোর জন্য কয়েল কিনে আসার সময় দেখে গাড়ির ভেতরে আগুন জ্বলছে। তখনই চিৎকার দিয়ে সবাইকে জানায়।’
মৌলভীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, ‘পুলিশের ১০-১২ জন সদস্য এদিকে ডিউটিতে ছিলেন। আশপাশে দোকানপাটও খোলা ছিল। কাজেই এখানে কেউ বাইরে থেকে এসে নাশকতার উদ্দেশ্যে আগুন লাগানোর সুযোগ কম।’