বিএনপির সমাবেশ ঘিরে পরিবহন ধর্মঘটের মধ্যে এবং পথে পথে নানা পেরিয়ে সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে সমবেত হয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা। আজ শনিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসছেন তাঁরা।
এই সমাবেশ ঘিরে দলের নেতা-কর্মীদের উত্তেজনা আছে, তেমনি সমাবেশের কারণে কড়াকড়িতে যাতায়াতসহ নানা ক্ষেত্রে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সিলেট বিভাগের বাসিন্দারা। অন্য সমাবেশগুলোর মতোই সিলেটেও সকাল থেকে মোবাইল ইন্টারনেটের ব্যবহার করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ আসছে।
মাধব কর্মকার নামের এক যুবক ক্ষোভের সঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের সমাবেশের জন্য আমাদের ভোগান্তি কেন? এটা কেমন কথা। ইন্টারনেট ছাড়া অফিশিয়াল কোনো কাজ করতে পারছি না।’
অন্যান্য বিভাগীয় গণসমাবেশের মতো সিলেটের মঞ্চেও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্য প্রতীকী চেয়ার রাখা হয়েছে। দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া প্যারোলে কারাগার থেকে মুক্তি পেলেও রাজনীতি থেকে দূরে রয়েছেন।
সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে তৈরি মঞ্চের মাঝখানে বড় একটি চেয়ার রাখা হয়েছে খালেদা জিয়ার জন্য। এই চেয়ারের দুই পাশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীসহ অন্য নেতাদের চেয়ার রাখা হয়েছে।
‘নেতা-কর্মীদের সমাবেশে আসতে পথে পথে পুলিশ বাধা দিচ্ছে’ অভিযোগ করে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘দুপুরের পর সমাবেশের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে। তখন খালেদা জিয়ার চেয়ারটি ফাঁকা থাকবে। দলীয় চেয়ারপারসনের প্রতি সম্মান প্রদর্শনপূর্বক এই চেয়ার রাখা হয়েছে।’
সমাবেশে মোট ৫৬ জন বক্তা বক্তব্য রাখবেন বলে জানান তিনি।