দিনে করেন নলকূপ বসানোর কাজ। এলাকায় পরিচিত এই পেশার জন্যই। কিন্তু আসল পেশা এটি নয়। মূলত ডাকাতির ছক কষতেই নলকূপ বসানোর কাজ নেন তাঁরা। একটি নলকূপ বসাতে দুই থেকে তিন দিন সময় লাগান। এরপর পরিকল্পনা অনুযায়ী সময় সুযোগ বুঝে রাতের বেলা হানা দেন সেই বাড়িতে। এমন একাধিক ডাকাতির ঘটনার পর অবশেষে চক্রের আট সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার ভোরে হবিগঞ্জ শায়েস্তাগঞ্জ-দেউন্দী সড়কের লিজু ব্রিক্স ফিল্ডের সামনে থেকে ডাকাতির প্রস্তুতি নেওয়ার সময় তাঁদের আটক করা হয়। এ সংক্রান্ত মামলা করার পর তাঁদের আদালতে তোলা হয়। এজলাসে তাঁরা তাঁদের কর্মকাণ্ডের বর্ণনা দেন। আজ বিকেলে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর এলাকার মো. কামাল হোসেনের ছেলে মন্টু মিয়া (২২) ও উজ্জ্বল মিয়া (১৯), হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ভাটি শৈলজুড়া এলাকার মকছুদ আলীর ছেলে মো. জাহাঙ্গীর ওরফে নয়ন (২০), আব্দুল বারিকের ছেলে জাহিদ মিয়া (২২), হাসিনাবাদ এলাকার মৃত আতর আলীর ছেলে মোশাহিদ মিয়া (২১), মর্তুজ আলীর ছেলে লিটন মিয়া (২১), শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুরাবই এলাকার ফারুক মিয়ার ছেলে মারুফ (১৬) ও মৌলভীবাজার জেলার গোযারাই এলাকার মৃত সুফিয়ান ওরফে ল্যাংড়া সুফিয়ানের ছেলে সালাউদ্দিন (২৫)।
চুনারুঘাট থানার ওসি মো. আলী আশরাফ বলেন, বিভিন্ন গ্রামে বাড়িতে নলকূপ বসানোর আড়ালে তাঁরা ডাকাতি করতেন। বিভিন্ন সময় যানবাহনেও ডাকাতি করতেন। চক্রটি হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিল।