সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ভোরে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক, বিদায়সুলপানি গ্রামের রিয়াজ আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৫২), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা, সরিষপুর গ্রামের জদু মিয়ার ছেলে রফিক মিয়া (৪০) ও বিশ্বনাথ পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক, পূর্ব জানাইয়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে শামীম ওরফে চাক্কু শামীম (৩২)।
পুলিশ বলছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগের দিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি প্রতিহত করতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপজেলা সদরে দেশীয় অস্ত্রসহ অবস্থান নেন। তাঁরা বাসিয়া ব্রিজের ওপর আল-হেরার ব্যবসায়ী জামায়াত নেতা আমজাদ আলীর ওপর হামলা চালিয়ে তাঁকে রক্তাক্ত জখম করেন। ভাঙচুর করে পোড়ানো হয় তাঁর ব্যবহৃত মোটরসাইকেল। পরে তাঁকে ধাওয়া করে ভাঙচুর করা হয় আল-হেরা মার্কেটও।
এ ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততা ছিল। ঘটনার পরদিন ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাঁরা আত্মগোপনে চলে যান। তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মামলা হয় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে। আজ ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুবেল মিয়া বলেন, ‘তিন পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ (শুক্রবার) তাঁদের সিলেট আদালতে পাঠানো হবে।’