বিচার ছাড়াই ৩০ বছর কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার সিংহগ্রামের মানসিক ভারসাম্যহীন কনু মিয়া। আজ মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে তাঁকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। এর আগে গতকাল সোমবার (১৪ জুলাই) জামিন মঞ্জুর করেন জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কনু মিয়া মানসিক রোগী ছিলেন। তিনি ১৯৯৫ সালের ২৫ মে তাঁর মাকে ঘরে থাকা একটি কোদাল দিয়ে আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়। তখন গ্রামবাসী তাঁকে আটক করে পুলিশে দেন। এ ঘটনায় কনু মিয়ার ভাই বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলা চলাকালে কনু মিয়া আরও ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ২০০৩ সালের দিকে আদালত এক আদেশে বলেন, কনু মিয়া সুস্থ হওয়ার আগপর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। সেই থেকে কারাগারে রয়েছেন কনু মিয়া। প্রথমে ভাই ও স্বজনেরা তাঁকে দেখতে গেলেও পরে যাতায়াত বন্ধ করে দেন। স্বজনদের ধারণা হয়, হয়তো কনু মিয়া আর বেঁচে নেই।
হবিগঞ্জ জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ মুহম্মাদ আব্বাছ উদ্দিন বিষয়টি জানার পর আইনি সহায়তার উদ্যোগ নেন। বড় ভাই বাদী মনু মিয়াসহ সংশ্লিষ্টদের খুঁজে বের করে তাঁদের সহায়তায় জামিনের আবেদন করা হয়।
হবিগঞ্জ আদালতের আইনজীবী মজিদ বলেন, দীর্ঘদিন পর হলেও জামিনে মুক্ত হয়েছেন কনু মিয়া। যা নিয়ে তাঁর স্বজনেরা খুশি।
কনু মিয়ার ভাই মনু মিয়া বলেন, তাঁদের ভাই মানসিক ভারসাম্যহীন। দীর্ঘদিন পর তিনি কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন। এতে সবাই খুশি।