রাজনৈতিক ও বিভিন্ন মামলায় আসামি গ্রেপ্তারে মৌলভীবাজার কারাগারে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণের বেশি বন্দী রয়েছেন। এতে কারাগারে বন্দীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। একজন কয়েদির নির্দিষ্ট থাকার জায়গায় দু-তিনজন করে থাকতে হচ্ছে।
মৌলভীবাজার জেলা কারা কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, এই কারাগারে ধারণক্ষমতা ৩১৬ জন, কিন্তু বন্দী রয়েছে ৭৯১ জন। এঁদের মধ্যে ১০ জন নারী কয়েদি রয়েছেন। তবে বন্দীদের কারাগারে থাকতে সমস্যা হচ্ছে না বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ।
কারাবিধি অনুযায়ী জানা গেছে, একজন বন্দীর থাকার জন্য ন্যূনতম ছয় ফুট করে দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের জায়গা থাকতে হয়। তবে এখন একজন বন্দী দুই থেকে আড়াই ফুট করে জায়গা পাচ্ছেন। কারাগারে দ্বিগুণের বেশি বন্দী থাকায় কোনো কারাবিধি মানা হচ্ছে না।
কারাভোগ করছেন এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কারাগারে একপাশ হয়ে ঘুমাতে হয়। একজন বন্দী দুই থেকে আড়াই ফুট জায়গা পান ঘুমানোর জন্য। নড়াচড়া করা যায় না। দিনের বেলা বন্দীরা ওয়ার্ডের বাইরে ঘোরাফেরা করলেও সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় ঘুমাতে। গরমের মধ্যে এই সমস্যা আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। খাবারের মান নিম্নমানের থাকায় বেশির ভাগ সময় ক্যানটিন থেকে খাবার কিনে খেতে হয়।
মানবাধিকারকর্মীরা মনে করছেন, আসামিদের সহজে জামিন দিয়ে দ্রুত বিচারকাজ সম্পন্ন করতে হবে। তাহলে কারাগারের অতিরিক্ত বন্দীর সংখ্যা কমে আসবে।
মৌলভীবাজার জেলা কারাগারের জেলার কাজী মাজহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কারাবন্দী যাঁরা আছেন, আমাদের পক্ষ থেকে তাঁদের নিয়মানুযায়ী খাবার দেওয়াসহ সবকিছু করা হচ্ছে। ঈদের দিন বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়েছে।’ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও মৌলভীবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার (ভারপ্রাপ্ত) আয়শা আক্তার লাবনী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। অতিরিক্ত কয়েদি থাকলেও আপাতত সমস্যা হচ্ছে না। আমরা নতুন কিছু রুম নিয়েছি।’