সিলেট শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের কর্মীদের নির্যাতনের শিকার হয়ে তিন কিশোরী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে শিবগঞ্জ লামাপাড়া এলাকার ওই পুনর্বাসন কেন্দ্রের চার তলা ভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে কার্নিশে উঠে তিন কিশোরী লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এলাকার লোকজন টের পেয়ে তাদের উদ্ধার করেন।
ওই তিন কিশোরী জানায়, পুনর্বাসন কেন্দ্রের দায়িত্বরতদের নির্যাতনের কারণে তারা আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল।
উদ্ধার হওয়া তিন কিশোরীর বয়স ১৫, ১৪ ও ১৩ বছর। তাদের বাড়ি যথাক্রমে ঢাকা, কুমিল্লা ও সুনামগঞ্জে।
ঘটনা জানাজানি হলে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় সাংবাদিকেরা। ভুক্তভোগী এক কিশোরী কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের বলে, ‘আমাদের নিয়া যান, আমরা এখানে ভালো নেই। আমাদের অন্য পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেন। আপনারা যাওয়ার পর শরিফা, কণিকা ও রাবেয়া ম্যাডাম আবারও নির্যাতন করবে। আমরা এমনি এমনি আত্মহত্যার চেষ্টা করিনি। আমাদের ওপর অমানবিক নির্যাতন করা হয়। এর চেয়ে মরে যাওয়া ভালো।’ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ ওই কিশোরীর।
তবে এ বিষয়ে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে অভিযুক্ত কারওর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল রাতে ভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে কার্নিশে উঠে তিন কিশোরী লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। টের পেয়ে স্থানীয়রা ভবনের নিচে অবস্থান নেন। তাদের আত্মহত্যা না করার জন্য নানাভাবে বোঝাতে থাকেন। এই ফাঁকে কিছু লোক জানালার গ্রিল ভেঙে কার্নিশ থেকে তাদের উদ্ধার করেন।
শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের পরিচালক বাসুদেব দেবনাথের মোবাইল ফোনে কল করা হলে ঘটনা সম্পর্কিত প্রশ্ন শুনেই ‘নেটওয়ার্ক সমস্যা’ বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি আর রিসিভ করেননি। এসএমএস পাঠিয়েও সাড়া মেলেনি।
এ বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান (রহ.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওই তিন কিশোরী পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। ৯৯৯ থেকে কল পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। তবে তারা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে এমন কোনো বিষয় তাঁরা জানেন না।