সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ঝাঐল ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) কর্মসূচির চাল কালোবাজারে পাচারের সময় আটকের পর টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কামারখন্দ উপজেলা পল্লী উন্নয়ন ও ট্যাগ কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ সংযোগ সড়কের একটি মন্দিরের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জানান, ভিডব্লিউবির চাল সুবিধাভোগীদের মধ্যে বিতরণের পর ব্যাপারী শান্তা ও রাজ্জাক সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে চাল কিনে কালোবাজারে পাচার করছিলেন। এ সময় ট্যাগ কর্মকর্তা টের পেয়ে চালবোঝাই ভ্যানের পিছু নেন। ভ্যানটি একটি মন্দিরের কাছে পৌঁছালে চালের ব্যাপারী নজরুল ও শান্তার কাছ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে ৮-১০ বস্তা চালবোঝাই ভ্যানটি ছেড়ে দেন ট্যাগ কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক।
তবে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন আব্দুর রাজ্জাক। তিনি দাবি করেন, ‘শক্ত হাতে বিষয়গুলো দেখা হচ্ছে। কেউ যাতে পরিষদ এরিয়ার ভেতরে চাল ক্রয় করতে না পারে, সেটি আমি শক্তভাবে দেখছি। আর আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো আনা হয়েছে, সেগুলো শতভাগ মিথ্যা।’
এ ব্যাপারে উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা সেলিনা পারভীন জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপাশা হোসাইন জানান, এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। ঘটনার প্রমাণ মিললে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।