অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় গ্রাম পুলিশের সদস্য আন্না রানী দাসকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার তাপস কুমার দাস গতকাল সোমবার হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত রোববার রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাপসকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার আদালতে পাঠানো হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
গ্রেপ্তার তাপস কুমার দাস (৩৫) সলঙ্গা থানার ভরমোহনী দাসপাড়া গ্রামের সূর্য কুমার দাসের ছেলে। আর নিহত আন্না রানী (৩০) একই গ্রামের মৃত বিজেন চন্দ্র দাসের স্ত্রী।
তথ্যমতে, গত শনিবার ভোরে ইসলামিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের পাশের পুকুরপাড় থেকে আন্না রানীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তাঁর মেয়ে ধ্রুপদী দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে সলঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা করে।
পুলিশ জানায়, শনিবার ভোরে হাঁটতে বের হন আন্না রানী। বিদ্যালয়ের পুকুরপাড়ে গেলে একই গ্রামের তাপস তাঁকে অনৈতিক প্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় তাপস তাঁকে জড়িয়ে ধরেন। আন্না চিৎকার করলে তাপস গলা চেপে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে বিদ্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ তাপসকে শনাক্ত এবং রোববার রাতে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।