শেরপুরে দেশের জাতীয় পতাকার আদলে সবজিখেত সাজিয়েছেন একদল শিক্ষক-শিক্ষার্থী। বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে শেরপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষকদের সহযোগিতায় অ্যাসাইনমেন্টের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা মাঠে সবুজ পালং শাক ও লাল শাকের চারা দিয়ে তৈরি করেছেন জাতীয় পতাকার প্রতিকৃতি। জাতীয় পতাকার আদলে চাষ করা এ সবজি খেত দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন আশপাশের মানুষজন।
স্থানীয়রা বলছে, শিক্ষার্থীরা শস্যখেতে জাতীয় পতাকা তৈরি করে যেমন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি সম্মান দেখিয়েছেন, তেমনি দেশের প্রতিও দেখিয়েছেন অকৃত্রিম ভালোবাসা ফুটে উঠেছে।
শেরপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা যায়, ১৯৫৮ সালে শেরপুর শহরের নারায়ণপুর এলাকায় প্রায় ৪৩ একর জমিতে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রাচীনতম ও একমাত্র কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই ইনস্টিটিউটে বর্তমানে অধ্যয়নরত প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। সম্প্রতি ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের হাতেকলমে প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে শাক–সবজি রোপণের অ্যাসাইনমেন্ট দেন শিক্ষকেরা। এ সময় তাদের জাতীয় পতাকার আদলে সবজি খেতটি রোপণ করতে বলা হয়। পরে শিক্ষকদের সহযোগিতা ও উৎসাহে শিক্ষার্থীরা ওই চিত্রকর্মটি বানাতে সফল হন। সবজি দিয়ে তৈরি করা জাতীয় পতাকার লাল বৃত্তে রয়েছে লাল শাক এবং সবুজ বৃত্তে রয়েছে পালং শাক।
শিক্ষার্থীরা বলছে, আগামী দিনগুলোতেও তাঁরা বৃহদাকারে বঙ্গবন্ধুর ছবি, স্মৃতিসৌধ তৈরি করবেন।
মো. আশরাফুল ইসলাম নামে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষার্থী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের এই স্বাধীনতা এসেছে। সেই চিন্তা মাথায় রেখেই এ বিজয়ের মাসে আমরা সবজি খেতে জাতীয় পতাকা বানাতে সক্ষম হয়েছি। সামনের দিনগুলোতেও আমাদের এসব কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
উল্লেখ্য, এর আগে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরে আলম সিদ্দিকী তাঁর নিজের ফসলের মাঠে সবুজ ও বেগুনি রঙের (পার্পল লিফ রাইস) ধানের চারা দিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকার প্রতিকৃতি তৈরি করে সাড়া ফেলেছিলেন।