হঠাৎ কারখানা খুলে দেওয়ার খবরে চার বছর বয়সী শিশুকে নিয়ে ট্রাকে করে কর্মস্থলে ফিরছিলেন সোহাগ মিয়া (৩০)। শিশুসন্তানটি তাঁর কোলেই ছিল। পথে অকস্মাৎ ব্রেক করলে ট্রাক থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়েন তিনি। পেছন থেকে আরেক ট্রাক চাপা দিয়ে দ্রুত চলে যায়। স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। সৌভাগ্যক্রমে শিশুটি রক্ষা পায়।
দুর্ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শনিবার সকালে ময়মনসিংহের ফুলপুরে ভাইটকান্দিতে। বাবার নাম আতশ আলী।
পরিবারের সূত্রে জানায়, সোহাগ মিয়া অনেক দিন ধরে ঢাকায় একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। ঈদের আগে বাড়িতে যান। এরপর লকডাউনে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ফলে আর ঢাকায় ফেরেননি। ৩০ জুলাই রাতে খবর পান ১ আগস্ট কারখানা খুলে দেওয়া হচ্ছে এবং অবশ্যই সময়মতো চাকরিতে যোগ দিতে হবে। শিশু সন্তানসহ এলাকার আরও কয়েকজন মিলে গতকাল ভোরে একটি মিনি ট্রাকে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। সকাল ৮টার দিকে পথিমধ্যে ময়মনসিংহের ফুলপুরে ভাইটকান্দি নামক স্থানে চালক হঠাৎ জোরে ব্রেক করলে সোহাগ মিয়া শিশুসহ ট্রাক থেকে রাস্তার ওপর ছিটকে পড়ে যান। ওই সময় পেছন থেকে একটি ট্রাক সোহাগ মিয়াকে চাপা দিয়ে চলে যায়। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফুলপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বেপরোয়া ট্রাকটি শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। কোনো বাদী না থাকায় মুচলেকা নিয়ে মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বানেশ্বর্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাজাহারুল আনোয়ার মহব্বত জানান, শনিবার রাতে জানাজা শেষে সোহাগ মিয়ার লাশ বানেশ্বর্দী (মোজারকান্দা) সর্বজনীন গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।