শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে লাগা অগ্নিকাণ্ডে পাঁচটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বুধবার (৮ অক্টোবর) ভোররাতে উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বারোমারী মিশন রোডের বটতলা মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দাবি, এতে তাঁদের আনুমানিক ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, বুধবার ভোর ৫টার দিকে গারো আদিবাসী নারী মিতালী ঘাগ্রার ‘সিলসি বস্ত্রালয়’ থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। মুহূর্তেই আগুন পার্শ্ববর্তী পাঁচটি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে।
পুড়ে যাওয়া অন্য চারটি দোকান হলো—খোরশেদ আলমের ‘ভাই ভাই’ খাবারের হোটেল, জমশেদ আলীর ‘আল্লাহ সাফি’ ওষুধের ফার্মেসি, আদিবাসী নারী প্রজাপতি সাংমার কাপড়ের দোকান ও বন্দনা চাম্বুগংয়ের মনিহারি দোকান।
আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের আসতে দেরি হওয়ায় স্থানীয় লোকজন ও বারোমারী বিজিবি ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা নিজস্ব উদ্যোগে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা ক্ষতির পরিমাণ ৬০ লাখ টাকা দাবি করলেও নালিতাবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জাকারিয়া ইসলাম বলেন, একটি কাপড়ের দোকানে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। এতে ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার ববি বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করব। পরে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের আবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে তাঁদেরকে সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।’