প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ছানুয়ার হোসেন ছানুর দায়ের করা মামলায় শেরপুর জিআর আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইকবাল মাহমুদ এ নির্দেশ দেন।
আজ সোমবার দুপুরে তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই তাঁকে বিশেষ নিরাপত্তায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের পুলিশ পরিদর্শক খন্দকার শহীদুল হক জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তার একাধিক দফায় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আসামি আবু সাঈদ চাঁদের প্রতি উপস্থিতি পরোয়ানার আদেশ দেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে উপস্থিতি পরোয়ানামূলে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আজ আদালতে হাজির করা হয়। তিনি আগে থেকেই রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলার মামলায় কারাগারে আটক ছিলেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জাহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার পরপরই ভিন্ন কারাগারে আটক প্রধান আসামি চাঁদকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে শেরপুরের আদালতে হাজিরের পর শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে। দ্রুতই তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করা হবে।’
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৯ মে রাজশাহীর পুঠিয়া এলাকায় জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে বলে হুমকি দেন রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। বিষয়টিকে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতির জন্য মর্যাদাহানিকর এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ উল্লেখ করে বিএনপি নেতা চাঁদকে আসামি করে দেশের বিভিন্ন জেলায় বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয়।
ওই ঘটনায় বিএনপির নেতা চাঁদকে প্রধান ও অজ্ঞাতনামা আরও দু-তিনজনকে সহযোগী আসামি করে ২৩ মে শেরপুরের আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ছানুয়ার হোসেন ছানু। এর দুই দিন পর একই ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ারুল হাসান উৎপল বাদী হয়ে আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।