শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মাঝিরঘাট এলাকায় পদ্মা সেতু রক্ষা বাঁধে হঠাৎ ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনে বাঁধের ২০০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আকস্মিক ভাঙনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আজ সোমবার বেলা ৩টার দিকে উপজেলার মাঝিরঘাট এলাকায় এ ভাঙন শুরু হয়।
নদীভাঙনে প্রায় ১০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও পাঁচটি বসতবাড়ি নদীগর্ভে চলে যায়। ভাঙনের শিকার পরিবার-ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাবেরী রায়সহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ২০১০-১১ অর্থবছরে ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে জাজিরার পদ্মা সেতু ল্যান্ডিং পয়েন্ট থেকে মাঝিরঘাট হয়ে পূর্ব নাওডোবা আলমখার কান্দি জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ২ কিলোমিটার ভাটিতে পদ্মা সেতু প্রকল্পের কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড বাঁধ নির্মাণ করে সেতু কর্তৃপক্ষ।
গত বছরের ৩ নভেম্বরে মাঝিরঘাট জিরো পয়েন্ট এলাকায় বাঁধটির প্রায় ১০০ মিটার ধসে পড়ে। এ বছর বাঁধটির সংস্কারে দায়িত্ব দেওয়া হয় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে। ২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ওই স্থানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ও সিসি ব্লক ফেলার কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এর আগে ঈদুল আজহার দিন ভোরে সংস্কার করা বাঁধের ১০০ মিটার অংশসহ পাশের আরও একটি স্থানে ভাঙন শুরু হয়। এক দিনের মধ্যে বাঁধের আড়াই শ মিটার অংশ নদীর পানিতে তলিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জলিল সরদার বলেন, আজ বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মাঝিরঘাট এলাকায় হঠাৎ ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে এ পর্যন্ত পদ্মা সেতু কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড রক্ষা বাঁধের প্রায় ২০০ মিটার বিলীন হয়ে গেছে। এতে প্রায় ২০টি বসতবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙনের শিকার হয়েছে। লোকজন তাঁদের বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিচ্ছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ইউএনওসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
জানতে চাইলে ইউএনও কাবেরী রায় বলেন, ‘হঠাৎ ভাঙনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছি। এসে পদ্মার ভয়াবহ ভাঙনের দৃশ্য দেখলাম। এখানে বাঁধের বেশ কিছু অংশ নদীগর্ভে চলে গেছে। অনেক দোকানপাট ও বসতবাড়ি ভাঙনের শিকার হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের তালিকা করে তাদের সরকারি সাহায্য-সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হবে।’