শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় সহকর্মীর ছুরিকাঘাতে রবিউল মাঝি (৩০) নামের এক মিষ্টির দোকানের কর্মচারী নিহত হয়েছেন। এ সময় সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বেলা ৩টার দিকে সখিপুর থানার কাঁচিকাটা ইউনিয়নের কাঁচিকাটা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রবিউল কাঁচিকাটা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাসেম মাঝির ছেলে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত সহকর্মী সোহাগ মোল্লাকে (২৮) আটক করেছে পুলিশ। সোহাগ মোল্লা একই এলাকার সিরাজ মোল্লার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাঁচিকাটা বাজারের বিল্লাল দেওয়ানের মিষ্টির দোকানে কয়েক বছর ধরে কর্মচারী হিসেবে সোহাগ মোল্লা ও রবিউল মাঝি কাজ করছেন। আজ বেলা ৩টার দিকে এই দুই কর্মচারীর মধ্যে কথা-কাটাকাটি থেকে মারামারি হয়। একপর্যায়ে সোহাগ চাকু দিয়ে রবিউলের বুকে আঘাত করেন। এতে রবিউল গুরুতর জখম হন এবং কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এ সময় সংঘর্ষ থামাতে গেলে মনসুর সরদার নামের স্থানীয় একজনকেও ছুরিকাঘাত করেন সোহাগ। এতে মনসুর সরদার গুরুতর জখম হলে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
পরে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্ত সোহাগ মোল্লাকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে সখিপুর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত সোহাগ মোল্লাকে আটক করে এবং মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল হক বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় অভিযুক্ত সোহাগ মোল্লাকে আটক করা হয়েছে।