দিনাজপুরের বিরামপুরে মৌসুমি ফল লিচু ও আম পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত বাঁশের ঝুড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মাহালী সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষেরা। শুরুতে চাহিদা কম থাকলেও অধিক হারে আম-লিচু পাকার সঙ্গে বেড়েছে ঝুড়ি কেনার চাহিদা। মাহালী পাড়ায় তাই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে ঝুড়ি তৈরির কাজ।
সংশ্লিষ্টরা বলছে, প্রতি বছর আম-লিচুর মৌসুমে এই এলাকা থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আম-লিচু পাঠানো হয়। এই আম-লিচু পরিবহনের জন্য বাঁশের তৈরি ঝুড়ি ব্যবহার করা হয়। উপজেলার কয়েকটি গ্রামে মাহালী সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষেরা সারা বছর বাঁশের বাতা ও কাঠি দিয়ে সাংসারিক কাজে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি তৈরি করে থাকে। তবে জ্যৈষ্ঠ মাস এলে আম লিচু পাকার সঙ্গে সঙ্গে তাদের কর্ম ব্যস্ততা বেড়ে যায়। এ সময় তাঁরা আম-লিচু পরিবহনের জন্য চাহিদা অনুযায়ী শত শত ঝুড়ি তৈরি করে থাকেন। চাহিদা বাড়লে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তৈরি করেন বাঁশের ঝুড়ি।
বিরামপুর কুরিয়ারসহ অন্যান্য পরিবহন সার্ভিসে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর জন্য বাঁশের তৈরি ঝুড়িতে ভরে আম ও লিচু সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে। এভাবে বিভিন্ন পরিবহনের মাধ্যমে বাঁশের ঝুড়িতে করে আম-লিচু পাঠানো হচ্ছে।
বিরামপুর পৌর এলাকার চাঁদপুর মাহালী পাড়ায় ঝুড়ি তৈরিতে মনোযোগী কমল হেমরম আজকের পত্রিকাকে জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বাঁশের দাম বেশি। প্রতিটি বাঁশ ১৮০-২০০ টাকা দরে কিনতে হয়েছে। একটি বাঁশ দিয়ে তৈরি হয় ৫-৬টি ঝুড়ি তৈরি করা যায় এবং এতে সময় লাগে একদিন। প্রকারভেদ প্রতিটি ঝুড়ি বিক্রি হয় ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে এবং এই মৌসুমে বাঁশের ঝুড়ির চাহিদাও অনেক।