রংপুর নগরীর বালাপাড়ায় শ্বশুরের যৌন নির্যাতনের পর গৃহবধূ মিতু আক্তারকে (১৯) হত্যার অভিযোগে তাঁর স্বামী সোহান ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে পলাতক থাকা সোহানকে শুক্রবার দিবাগত রাতে পঞ্চগড় জেলার মিলগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর রংপুর নগরীর বালাপাড়া এলাকার নিজ ঘর থেকে মিতু আক্তারের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হলেও, পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিতুর শ্বশুরের যৌন নির্যাতনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যা ঘটনাটিকে ভিন্ন দিকে মোড় দেয়। স্থানীয়রা দাবি করেন, নির্যাতনের পর মিতুকে হত্যা করে ঘটনাটি আত্মহত্যা হিসেবে সাজানো হয়েছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার তোফায়েল আহমেদ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গোয়েন্দা তৎপরতায় স্বামী সোহানকে পঞ্চগড় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রমতে, এ ঘটনায় নিহত মিতু আক্তারের বাবা মিনজুল ইসলাম চারজনকে আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেছেন।
উপপুলিশ কমিশনার বলেন, ‘আমরা ঘটনার সব দিক খতিয়ে দেখছি। মামলার প্রধান আসামি গৃহবধূর শ্বশুর রাজা মিয়াসহ অন্যদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।’