রংপুরের পীরগাছায় রাতের আঁধারে মসজিদের জমির আধা পাকা ধান কেটে বিনষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। আদালতে মামলা চলমান থাকা সত্ত্বেও ১৮ শতাংশ জমির ধান কেটে নষ্ট করা হয়েছে। এ ঘটনাকে ঘিরে মুসল্লি ও গ্রামবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের তালুক কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গ্রামের তালুক কান্দি শাহি জামে মসজিদের উন্নয়নের জন্য প্রবাসী বাবু মিয়া ১৮ শতাংশ জমি দান করেন। তৎকালীন মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রউফ মিয়া ওই জমি মৌখিক চুক্তিতে বিক্রি করে মসজিদের ছাদের ঢালাই সম্পন্ন করেন। পরে আব্দুর রউফ মিয়া কমিটি থেকে বাদ পড়লে জমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি করেন। তিনি জমির অংশীদার দাবি করছেন। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান।
এই অবস্থায় মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে জমিতে আমন ধান রোপণ করা হয়। ধান আধা পাকা অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও গতকাল গভীর রাতে পুরো জমির ধান কেটে বিনষ্ট করা হয়। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। আজ শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মুসল্লিরা জমি পরিদর্শন করেন এবং জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
স্থানীয় জোবাইদুল ইসলাম, জিয়ারুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম সুজন এবং এস এ সবুর জীবন বলেন, ‘এই জমি নিয়ে ১২–১৫ বার সালিস হয়েছে। কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। কোনো কাগজপত্র ছাড়াই ঝামেলা তৈরি করছেন আব্দুর রউফ মিয়া।
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বলেন, ‘মসজিদ ফান্ডের টাকা দিয়ে ধান রোপণ ও পরিচর্যা করা হয়েছে। অথচ রাতের আঁধারে সেই ধান কেটে বিনষ্ট করা হয়েছে। কোনো মুসলমানের পক্ষে এমন কাজ করা সম্ভব নয়। আমরা বিচার দাবি করছি।’
জানতে চাইলে অভিযুক্ত আব্দুর রউফ মিয়া বলেন, ‘আমি বাড়িতে ছিলাম না। একটি কুলখানিতে ছিলাম। ধান কাটার বিষয় জানি না।’ এ বিষয়ে পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোমেল বড়ুয়া বলেন, এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।