রংপুরে খাদ্য অধিদপ্তরের ‘সহকারী উপখাদ্য পরিদর্শক’ পদের লিখিত পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে দুই চাকরিপ্রার্থীকে আটক করা হয়েছে। ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার অভিযোগে তাঁদের আটক করা হয় এবং পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রত্যেককে ২০ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ শনিবার (২৯ নভেম্বর) তাঁদের রংপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর থানার মুরয়াদহ গ্রামের আব্দুল বারী মিয়ার ছেলে ইদ্রিস আলী আকন্দ (৩০) এবং কুড়িগ্রামের উলিপুর থানার মালতীবাড়ী গ্রামের এরশাদুলের ছেলে সাজ্জাদুল ইসলাম (২৪)।
রংপুর মেট্রোপলিটন হারাগাছ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজাদ রহমান জানান, আজ (২৯ নভেম্বর) রংপুর মহানগরের ৭৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘সহকারী উপখাদ্য পরিদর্শক’ পদে চাকরিপ্রার্থীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা চলাকালে জালিয়াতির ঘটনাটি ধরা পড়ে। কানে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ঢুকিয়ে লিখিত পরীক্ষা দেওয়ার সময় পরীক্ষার্থী ইদ্রিস আলীকে হারাগাছ থানাধীন ময়নাকুটি সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে আটক করা হয়। আর পরীক্ষার্থী সাজ্জাদুল ইসলামকে গুলালবুদাই উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে আটক করা হয়। এ সময় তাঁদের দুজনের কাছ থেকে ইলেকট্রনিক ডিজিটাল ডিভাইস উদ্ধার করা হয়।
পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশীম কুমার দাস ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। তিনি দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ১৮৮ ধারায় পরীক্ষায় জালিয়াতির অপরাধে তাঁদের প্রত্যেককে ২০ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত দুজনকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ শনিবার রংপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন ওসি।