রংপুর নগরের রবার্টসনগঞ্জ মণ্ডলপাড়া আবাসিক এলাকায় একটি মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠান টাওয়ার স্থাপনের কাজ শুরু করেছে। এ নিয়ে আগে থেকেই স্থানীয়রা আপত্তি জানালেও তা শোনা হয়নি। এ অবস্থায় টাওয়ার স্থাপনের কাজ বন্ধের দাবি জানিয়ে রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও রংপুর জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
গত সোমবার স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষে মোশারফ হোসেন নামের এক ব্যক্তি মেয়র মোস্তাফিজার রহমানকে ওই চিঠি দেন। আর জেলা প্রশাসকের দপ্তরে চিঠিটি পৌঁছানো হয় আজ বুধবার। চিঠিতে মোবাইল অপারেটর কোম্পানির টাওয়ার স্থাপনের বিরোধিতার কারণ হিসেবে টাওয়ারের বিকিরণ বা রেডিয়েশনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, মোবাইল টাওয়ারটি নির্মাণ হলে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। রয়েছে ক্ষতিকর বিকিরণ থেকে স্থানীয়দের মধ্যে, বিশেষত শিশুদের মধ্যে নানা রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। টাওয়ারটি স্থাপনের জন্য সিটি করপোরেশনের অনুমোদন ও পরিবেশ ছাড়পত্রও নেওয়া হয়নি।
গত সোমবার চিঠি পাওয়ার পর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান বলেছেন, স্থানীয় ব্যক্তিদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে টাওয়ার স্থাপনের কাজ বন্ধের জন্য সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকেও সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেওয়া হবে। মৌখিকভাবে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরকেও কাজ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
মেয়রকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, নগরীর মণ্ডলপাড়া ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকা। এখানে স্থানীয় এক ব্যক্তির জমি ইজারা নিয়ে একটি মুঠোফোন অপারেটর প্রতিষ্ঠান টাওয়ার স্থাপনের কাজ শুরু করেছে। এর বিকিরণের ঝুঁকির কথা বিবেচনায় স্থানীয় বাসিন্দারা আবাসিক এলাকায় টাওয়ার স্থাপন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
মোশারফ হোসেন বলেন, আবাসিক এলাকায় টাওয়ার বসাতে দিয়ে বাসিন্দারা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ঝুঁকিতে ফেলতে চান না।
মণ্ডলপাড়া এলাকা সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে। স্থানীয় কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম বলেন, টাওয়ার স্থাপন বন্ধে তিনি মেয়রের সঙ্গে কথা বলেছেন। আপাতত এর কাজ বন্ধ আছে।
সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমানের দেওয়া আশ্বাস অনুযায়ী আজ বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি বিভাগের দুই কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে স্থানীয়দের পক্ষে মোশারফ হোসেন বলেন, সিটি করপোরেশনের দুই কর্মকর্তা টাওয়ারটির নির্মাণস্থল পরিদর্শনে আসেন। পরিদর্শনের সময় টাওয়ার নির্মাণের কাজ বন্ধ ছিল। তাঁরা একটি নম্বর দিয়ে গেছেন। কাজ শুরু হলে নম্বরটিতে ফোন করে জানাতে বলেছেন তাঁরা।