লালমনিরহাটে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে আব্দুল জলিল হত্যা মামলায় স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হায়দার আলী এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন লালমনিরহাট পৌরসভার সাপ্টানা মাঝাপাড়া এলাকার রহমত আলী মোল্লার মেয়ে নিহতের স্ত্রী মমিনা বেগম (২৭) এবং তাঁর প্রেমিক সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের কিসমত গাছ (পাঙ্গাটারি) এলাকার রমজান মুন্সির ছেলে গোলাম রব্বানী।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ২০২১ সালের ২১ জুলাই রাতে মমিনা বেগম তাঁর প্রেমিক গোলাম রব্বানীর সহযোগিতায় কৌশলে স্বামী আব্দুল জলিলকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করেন। পরে তাঁকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে ওই সালের ২৭ জুলাই লালমনিরহাট সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলাটি দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদুন-নবী আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আজ আসামিদের উপস্থিতিতে আদালত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে আদালত উল্লেখ করেন আব্দুল জলিলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার দায়ে তাঁর স্ত্রী মমিনা বেগম ও তাঁর প্রেমিক গোলাম রব্বানীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আনোয়ার হোসেন মিঠু বলেন, আব্দুল জলিলকে শ্বাসরোধে হত্যার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার পর মামলার বাদী আব্দুর রশিদ বলেন, ‘আসামিদের ফাঁসি হলে আরও খুশি হতাম। দণ্ডিত আসামি মমিনা বেগম ও গোলাম রব্বানী পরিকল্পিতভাবে ভাইকে হত্যা করেছে। যা আমরা আদালতে প্রমাণ করতে পেরেছি।’