২৫ ডিসেম্বর খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। এই উৎসবকে সামনে রেখে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা খ্রিষ্টানপল্লি ইতিমধ্যে বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয়েছে। নানান রঙের আলো, সাজসজ্জা ও উৎসবমুখর পরিবেশে পুরো পল্লি যেন নতুন রূপ ধারণ করেছে।
পল্লির প্রতিটি ঘরকে নবরূপে সাজানো হয়েছে। বিশেষ করে গির্জা প্রাঙ্গণ ও আশপাশ এলাকায় আলোকসজ্জা করা হয়েছে। বড়দিনের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে ১৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে প্রাক্-বড়দিন উৎসব, যা এখনো চলমান রয়েছে। এ উপলক্ষে নগর কীর্তন, উপহার বিনিময়, ক্রিসমাস ট্রি সাজানোসহ নানা আয়োজন চলছে। পাশাপাশি বড়দিনকে ঘিরে পিঠা ও ঐতিহ্যবাহী খাবার তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষেরা। অতিথিদের বরণে প্রতিটি ঘর সাজানো হচ্ছে নান্দনিকভাবে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় চন্দ্রঘোনা খ্রিষ্টান হাসপাতাল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতাল চত্বরসহ আশপাশ এলাকা নানা রকম আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। এ সময় চন্দ্রঘোনা খ্রিষ্টান হাসপাতালের পরিচালক প্রবীর খিয়াং বলেন, ‘বড়দিন আমাদের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে মানুষের মিলনমেলা ঘটে। এতে সামাজিক সম্প্রীতি ও বন্ধন আরও সুদৃঢ় হয়।’
চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক ব্যাপ্টিস্ট চার্চের সভাপতি এবং সাবেক কৃতী ফুটবলার বিপ্লব মারমা বলেন, ‘বড়দিনকে ঘিরে খ্রিষ্টানপল্লিগুলো এখন নতুন রূপে সেজেছে। প্রতিটি ঘরে অতিথি আসবেন। আমরা সবাই তাঁদের বরণে প্রস্তুত।’
চন্দ্রঘোনা ব্যাপ্টিস্ট চার্চের পালকপ্রধান রেভারেন্ড রোনাল্ড দিলীপ সরকার বলেন, বড়দিন উপলক্ষে গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা, খ্রিষ্ট সংগীত পরিবেশনা, শুভেচ্ছা বিনিময় ও কেক কাটার আয়োজন রাখা হয়েছে।
চন্দ্রঘোনা ব্যাপ্টিস্ট চার্চের সাধারণ সম্পাদক বিজয় মারমা বলেন, বড়দিন উদ্যাপনে সব ধরনের প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। এ বছর চার্চে ব্যাপক পরিসরে অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।