সার্টিফিকেট তুলতে গিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক নেতা ফিরোজ মাহমুদ আটক হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হলের সামনে থেকে তাঁকে আটক করা হয়। পরে আজ শনিবার দুপুরে করা এক মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মামলার বাদী ছাত্রদল নেতাসহ কয়েকজন ওই ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে আমাদের খবর দেয়। পরে আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে আজ দুপুরে ছাত্রদল নেতার করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।’
আটক ফিরোজ মাহমুদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি শহীদ জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তাঁর গ্রামের বাড়ি বগুড়ায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফিরোজ মাহমুদ সার্টিফিকেট তুলতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন। গতকাল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হলের সামনে ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা-কর্মী তাঁকে আটকে মারধর করেন। পরে খবর দেওয়া হলে মতিহার থানা-পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ জুলাই বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হলের সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের ১০১ জন নেতা-কর্মীর নামে নগরের মতিহার থানায় মামলা করেন ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবিব। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০০ থেকে ২২০ জনকে আসামি করা হয়। ১৭ অক্টোবর ওই মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার বিষয়ে এক ছাত্রলীগ কর্মীর সঙ্গে বাদী আহসান হাবিব ও ছাত্রদল নেতা হাসিবুল ইসলামের ফোনালাপের দুটি রেকর্ড ফাঁস হয়। এ ঘটনায় ১৯ অক্টোবর দুই নেতাকে অব্যাহতি দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। আহসান হাবিবের করা ওই মামলায় ফিরোজ মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।